গরুর মাংস, সব ধরনের মুরগি ও ডিমের দামে ঈদের হাওয়া লেগেছে। রাজধানীতে প্রতিকেজি গরুর মাংস বাজার ও মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭২০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। গরুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্রয়লাসহ সবধরনের মুরগির মাংসের দাম। গত দুই দিনে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। সেই সঙ্গে বেড়েছে ডিমের দামও।
মাংসের দোকানে এতদিন গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে কেজি ৬৫০ টাকায়। এখন মূল্য তালিকায় লেখা ৭০০ টাকা। জানতে চাইলে বিক্রেতা লিটন বলেন, প্রথম রমজান থেকে ২৬ রমজান পর্যন্ত এক রেট ছিল ৬৫০ থেকে ৬৬০ টাকা। শুক্রবার থেকে ৭০০ টাকা। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবারই ঈদের আগে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়ে। এছাড়া গরু কেনার দাম বেশি পড়ছে খরচও বেশি। রমজানের শুরুতে বেশ কয়েকদিন মাংস বিক্রি করে লস হয়েছে।
মতিঝিলের গরুর মাংস বিক্রেতা হাবিব। তিনি জানান, আজ থেকে ৭০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। ছোট দেশি গরুর মাংস ৭২০ টাকা। পাশেই খাসির মাংস বিক্রি করছে কেজি ১০০০ টাকা।
বাজারে গরুর মাংস কিনতে আসা ইয়াসিন নামের এক ক্রেতা জানান, দাম প্রতিদিনই বাড়ে। রোজার শুরুতে এক কেজি গরুর মাংস কিনেছিলাম ৬৫০ টাকা দিয়ে। আজ কিনলাম ৭০০ টাকা নিল। কোনো কথা বলা যায় না। তাদের (বিক্রেতাদের) কথা একটাই নিলে নেন না হয় চলে যান।
গরুর মাংসের সঙ্গে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কাপ্তান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী সোহাগ জানান, গতকালও খুচরায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি ১৭০ টাকা। আজকে ১৮০ টাকা। এক সপ্তাহে আগে ১৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। এছাড়া কক ও লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে। আজ সোনালি (কক) মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়, যা রোজার শুরুতে ছিল ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। লেয়ার (লাল) ২৮০ টাকা, আর সাদা লেয়ারের দাম ২৫০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় লেয়ারের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
রাস্তায় ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে মুরগি কিনতে দরদাম করছেন সাইফ। ১০ দিন আগেও মাঝারি সাইজের এক হালি কক মুরগি কিনেছেন ৮০০ টাকা দিয়ে। ওই দামে দেওয়ার জন্য বিক্রেতাকে বলছেন সাইফ। কিন্তু বিক্রেতা বলছেন ১১শ টাকা। পরে হালি ১০০০ টাকায় কিনলেন। তিনি জানান, দাম বাড়তেই থাকে। আর একবার দাম বাড়লে কমে না।
গরু, মুরগির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ডিমের দাম। মুগদায় ডিম ব্যবসায়ী কাওসার জানান, গতকাল থেকে ডিমের দাম আরও বেড়েছে। আজ এক ডজন লাল ডিম বিক্রি করছি ১১০ টাকায়। দুই দিন আগেও ছিল ১০০ টাকা।
এদিকে বাজারে কিছু সবজির দাম কমলেও বেড়েছে শশা ও টমেটোর দাম। মুগদা বাজারের সবজি বিক্রেতা মিজান বলেন, আজকে বাজারে শশা ও টমেটোর দাম বেশি। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে শশা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, আর টমেটো ৫০ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়শ, বরবটি, বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, বেগুন ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা, লাউ ও চালকুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেবু প্রতি হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।