বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে বেশ হইচই! এরপর বাংলাদেশের বিপর্যস্ত ব্যাটিংয়ের পরও তাকে নামানো হচ্ছিল টেল-এন্ডারে। তবে সেখানে নেমেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিজের জাত চিনিয়েছেন। তাই তো তাকে মিডল অর্ডারে নামানোর জন্য জোর দাবি তোলেন দেশ ও বাইরের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরাও। এরপর থেকে তার ব্যাটিং পজিশন বদল হয়েছে ঠিকই, তবে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে তার অবস্থান বদলেছে ৫ বার।
বিশ্বকাপে রিয়াদের শুরুটা হয়েছিল ৮ নম্বর ব্যাটার হিসেবে। পরের তিন ম্যাচে তিনি সাত, ছয় ও সাত নম্বরে খেলেছেন। এরপর মাঝে ইংল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচে রিয়াদ একাদশে ছিলেন না। আজ (মঙ্গলবার) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহকে পাঠানো হয়েছে পাঁচ নম্বরে। মুশফিকের পর ব্যাটিং অর্ডারে তারও উন্নতি হয়েছে। সে কারণে ব্যাট হাতে বাজে সময় কাটানো টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং পজিশন পিছিয়ে গেল।
বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ একাদশে এক পরিবর্তন আনা হয়েছে। শেখ মেহেদির জায়গায় ফিরেছেন তাওহীদ হৃদয়। অন্যদিকে, তিনটি পরিবর্তন করা হয়েছে পাকিস্তান একাদশে।
এর আগে মাহমুদউল্লাহ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। তার আগেই জিতে যায় বাংলাদেশ, যা এখন পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপে তাদের একমাত্র জয়। তার দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আট নম্বরে নেমে রিয়াদ করেন অপরাজিত ৪১ রান। এরপর ভারতের বিপক্ষে সাতে নেমে ৪৬, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ছয়ে নেমে তিনি ১১১ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ফের সাতে নামানো হয় রিয়াদকে। ডাচদের কাছে লজ্জার হারের ম্যাচটিতে তার ব্যাটে আসে ২০ রান।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ৩৭ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে ব্যাটিংয়ে আরও আগে নামানোর জন্য দাবি তুলে আসছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে পাকিস্তানি কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরামের মন্তব্যটা উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেছিলেন, ‘প্লিজ মাহমুদউল্লাহকে ওপরে খেলাও। মিডল অর্ডার যখন ব্যর্থ, তখন দলের সেরা ব্যাটারকে চার বা পাঁচে খেলান। টিম ম্যানেজমেন্ট কী ভাবছে জানি না। মাহমুদউল্লাহকে কেন ৭ নম্বরে নামানো হচ্ছে, কেউ এর কারণটা ব্যাখ্যা করবে আশা করি। তিন উইকেট পড়ে গেলে মাহমুদউল্লাহকে নামানো উচিত, সে একপ্রান্ত আগলে রাখবে।’
চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার আশা কার্যত শেষ। এখন তাদের সামনে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা পাওয়ার জন্য র্যাংকিংয়ের ৮-এ থাকার লক্ষ্য। তাই বাকি তিন ম্যাচে অবশ্যই জিততে চায় সাকিবের দল। যদিও কাজটি তাদের জন্য কঠিন বলে সাকিব নিজেই জানিয়েছেন।