সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশ বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের কাছে যে চিঠি লিখেছেন তাতে মিথ্যা তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশন চাইলেই হবে না, সব দলকেও সুষ্ঠু নির্বাচন চাইতে হবে। আমরা চাই সবাই নির্বাচনে সহায়তা করুক।’
চীনের সম্মেলনে নয় বরং প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চীনের একটি সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ পেয়েছেন। কিন্তু সে সময় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে যাবেন বলে চীনে যেতে পারবেন না। আমরা চীনকে এ বিষয়ে সবিনয়ে জানিয়েছি।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিউইয়র্ক সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে আসতে পারে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মোদি-বাইডেন কী নিয়ে আলাপ করবেন, সেটি নিয়ে বাংলাদেশের ওকালতি করার দরকার নেই।
বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত অত্যন্ত পরিপক্ব গণতান্ত্রিক একটি দেশ। ভারতের দেশপ্রেম অত্যন্ত পরিপক্ব এবং অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী। তারা (মোদি-বাইডেন) যেটা ভালো মনে করবে, সেটাই আলাপ করবে। ওখানে আমার (বাংলাদেশ) ওকালতি করার প্রয়োজন নেই।
গত ১২ জুন ভারতের বারানসিতে জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন মোমেন। সেই বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক আলাপ হয়েছে। আমরা সেইম লেভেলে কাজ করছি। আমি খুব খুশি, আমি খুব সন্তুষ্ট। ভারত সরকার আমাদের অত্যন্ত সম্মান দিয়েছে।