নিজেদের সবশেষ ম্যাচে ইউনাইটেড ঘরের মাঠে হেরেছে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের কাছে। ম্যাচের ২০ মিনিট হওয়ার আগেই আলেকসান্দার ইসাক এবং জোয়েলিংটনের গোলে লিড নেয় ম্যাগপাইরা। সেই ২ গোলেই পরবর্তীতে হেরেছে ইউনাইটেড। যা এই মাসে প্রিমিয়ার লিগে তাদের ৫ম হার।
আর এতেই ইউনাইটেডের ড্রেসিংরুমে ফিরে এল ৬২ বছরের পুরাতন এক লজ্জা। প্রায় ৬২ বছর পর প্রথমবারের মতো ১ মাসে পাঁচ লিগ ম্যাচ হারলো রেড ডেভিলরা। শেষবার ম্যান ইউনাইটেড ১ মাসে ৫ লিগ ম্যাচ হেরেছিল ১৯৬২ সালে। আর প্রতিপক্ষ নিউক্যাসেলের সঙ্গে রেকর্ড বিবেচনায় করলে ৩৯ ম্যাচ ও ১১ বছর পর নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হারের মুখ দেখলো রুবেন আমোরিমের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
লজ্জার রেকর্ডের পরিসংখ্যান এখানেই শেষ হচ্ছে না তাদের। চলতি বছর ইউনাইটেড শেষ করছে লিগে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে। ১৯৮৯ সালের পর বছরের হিসেবে এটিই তাদের সবচেয়ে বাজে অবস্থান। সেবারে ইউনাইটেড বছরকে বিদায় জানায় ১৫তম স্থানে থেকে। এছাড়া ১৯৭৯ সালের পর এবারই প্রথম ঘরের মাঠে টানা তিন লিগ ম্যাচ হেরেছে ইউনাইটেড। সঙ্গে ১৯৬৪ সালের পর এক মাসে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবচেয়ে বেশ গোল খাওয়ার (১৮টি) নতুন নজির এটি। সেবারেও তারা অবশ্য ১৮ গোলই হজম করেছিল।
এই হারের পর ১৯ ম্যাচ শেষে ১৪ নম্বরে আছে ইউনাইটেড। পয়েন্টের বিচারে অবনমন অঞ্চল থেকে মাত্র ৭ পয়েন্ট দূরে। অবস্থা এতই সঙ্গীন, ম্যান ইউনাইটেড অবনমন অঞ্চলে প্রবেশ করবে– এমন আলোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে ফুটবল পাড়ায়। ইতিহাসে এখন পর্যন্ত ৫ বার অবনমনের শিকার হয়েছে ওল্ড ট্রাফোর্ডের ক্লাবটি। তবে সবশেষ এমনটা দেখা গিয়েছিল ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে।
প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে ১৪ নম্বর থেকে বছর শেষ করা চারটি দল শেষ পর্যন্ত অবনমিত হয়েছিল। ২০০৮-০৯ মৌসুমে নিউক্যাসল, ২০০৯-১০ মৌসুমে বার্নলি, নরউইচ ২০১৩-১৪ মৌসুমে এবং ২০২২-২৩ মৌসুমে লিডস ইউনাইটেড। রুবেন আমোরিমের দল এবারে সেই পথে হাঁটে কি না তাই দেখার বিষয়।