দেশে প্রথমবারের মতো প্রদান করা হলো ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা পুরস্কার ২০২৩’। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। ৪টি ক্যাটাগরিতে ১ জন ব্যক্তি, ২ প্রতিষ্ঠান ও ৩টি উদ্যোগ পেয়েছে এই পুরস্কার।
বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও ১০ হাজার ডলার পুরস্কার তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব মো. শামসুল আরেফিন, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লাহ এবং ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাইবার নিরাপত্তার জন্য চারটি বিষয় নিশ্চিত করা জরুরী। প্রথমত, সচেতনতা। দ্বিতীয়ত, টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট। তৃতীয়ত, ডেভেলপমেন্ট পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক। আর চতুর্থত, ইন্টারন্যাশনাল ক্রসবর্ডার কলাবোরেশন। তিনি আরও বলেন, এখন আরও বেশি প্রাইভেট সেক্টরের ইনিশিয়েটিভ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি পদক্ষেপ জরুরী। কারণ সকল স্তরের অংশগ্রহণ ছাড়া আমরা সফল হতে পারবো না।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নেয়া প্রতিযোগীরা চারটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা এবং শিক্ষা পুরস্কার পেয়েছে তামজিদ রহমান। সে সেন্ট জোসেফ স্কুলের শিক্ষার্থী। তার উদ্যোগের নাম ‘জানলে আইন, নিরাপদ অনলাইন’। এর মাধ্যমে সে অনলাইন সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে। উদ্যোক্তাদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা উদ্ভাবন পুরস্কার পেয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। একটি ভারতের এন্ড নাও ফাউন্ডেশন, অন্যটি বাংলাদেশের বাইট ক্যাপসুল। সরকারি কর্মকর্তা, জনসেবা প্রদানকারী এবং পেশাদারদের জন্য সাইবার নিরাপত্তা নেতৃত্ব পুরস্কার পেয়েছে দুটো উদ্যোগ। একটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ডিজিটাল সিকিউরিটি সেল, অন্যটি বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা বিশেষ স্বীকৃতি পুরস্কার পেয়েছে পথচলা ফাউন্ডেশন। এটি তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর একটি উদ্যোগ।
দেশ প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা পুরস্কার’ চালু করেছে, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি। এই উদ্যোগের সহযোগিতা করেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেয় তারা। তারই ধারাবাহিকতায় সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতায় উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করতে এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়। যেখানে প্রতিটি বিভাগে বিজয়ীরা পেয়েছেন ১০ হাজার ডলারের আর্থিক পুরস্কার। ২০২২ সালে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’-এর মাধ্যমে এই অর্থ সংগৃহীত হয়।