চলতি বছর চালু হওয়া ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে কোনো ধরনের মডেল টেস্ট বা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। যদি কেউ এর ব্যতয় ঘটায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (১৩ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর বেলাল হোসাইন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নির্ভরতা কমিয়ে শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নের ওপর জোর দিতে চলতি বছর থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ দুটি শ্রেণিতে পাঠদান করাতে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্যান্য শ্রেণির মতো এখানেও মডেল টেস্ট বা পরীক্ষা নেওয়া প্রস্তুতি চলছে।
এসব অভিযোগ সামনে আসার পর সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কঠোর বার্তা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
আরও ৫টি নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে।
৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন-শেখানো ও মূল্যায়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে এনসিটিবি প্রণীত শিক্ষক সহায়িকা (Teacher’s Guide) এবং শিক্ষাক্রমের নির্দেশনা অনুসারে পড়াতে হবে।
এ দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রচলিত কোনো পরীক্ষা/মডেল টেস্ট নেওয়া যাবে না। এর কোনো রকমের ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নতুন চালু হওয়া ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে এনসিটিবি থেকে যে গাইড লাইন দেওয়া হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষক, প্রতিষ্ঠান প্রধান, উপজেলা/থানা একাডেমিক সুপারভাইজার, উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, আঞ্চলিক উপপরিচালক এবং আঞ্চলিক পরিচালকদেরকে নিয়মিত পরিবীক্ষণ জোরদার করতে হবে এবং নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেষ্ট ও সচেতন থাকতে হবে। এ বিষয়ে কোনো ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দায়ী থাকবেন।