গেল বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পতন না হলে আজ অনেকেই গুম-খুনের শিকার হতেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এবি পার্টি কর্তৃক গুম, খুন ও আয়নাঘরের নৃশংসতায় জড়িত খুনিদের দ্রুত বিচার সম্পন্ন করার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান বিএম নাজমুল হক, লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতেই আমরা গুম-খুনের বিচার চেয়েছি। তখন সরকার বলেছে আয়নাঘর নামে কিছু নেই। তখন আয়নাঘর থেকে ফিরে আসা একজন সেনা কর্মকর্তা আয়নাঘরের বর্ণনা দিয়েছিলেন। তখন আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা এটাকে অস্বীকার করেছে। আজ গুম কমিশন যখন আয়নাঘর বের করেছে, প্রধান উপদেষ্টা দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শন করে বলেছেন— আওয়ামী শাসন ছিল আইয়্যামে জাহেলিয়াতের শাসন।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের কোনো নেতা এখনই ক্ষমার কথা বলছেন। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে আজ আপনারাও আয়নাঘরে থাকতেন।
তিনি আমলা, সাংবাদিক, পুলিশ ও সামরিক প্রশাসনের কর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সবাই আন্তরিকভাবে বিচারকাজে সহায়তা করুন, নইলে আপনাদেরও হাসিনা একসময় আয়নাঘরে ঢুকাবে।
ভাইস চেয়ারম্যান বিএম নাজমুল হক বলেন, ৫ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে সমস্ত শহীদের রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের ৬ মাস পর এসে সেই গণহত্যায় জড়িত খুনিদের বিচারের দাবি নিয়ে আজ আমাদের সমাবেশ করতে হচ্ছে।
কর্নেল দিদার বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে আমরা বিতাড়িত করেছি। আজ ভারতে বসে সে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আমরা জাতিসংঘ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি বঙ্গীয় হিটলারের আয়নাঘরের নির্যাতনকে দুনিয়ার সামনে তুলে ধরার জন্য। আমরা জাতীয় ঐক্যমতের কমিশনকে আহ্বান করছি নতুন বাংলাদেশকে মানবাধিকারের ভিত্তিতে গড়ে তোলার জন্য।