বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ৫৮ মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেছেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু।
বুধবার (৯ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেছেন বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির এই মূল হোতা। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় ২০ মামলায় চার আসামিকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ওই চার আসামি হলেন- বেসিক ব্যাংক হেড অফিসের এজিএম সাদিয়া আক্তার শাহীন, মতিঝিল লোকাল অফিসের এজিএম মো. জালাল উদ্দিন, গুলশান শাখার এজিএম রুমানা আহমেদ এবং বেসিক ব্যাংক হেড অফিসের এজিএম এ এস এম আনিসুর রহমান।
গত ১২ জুন অর্থ জালিয়াতিসহ বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতির ৫৯টি মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ ১৪৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৫৯টি মামলা হয়। পাঁচজন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাগুলোর তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেই প্রেক্ষিতে কমিশন মামলাগুলোর চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন করেছে।
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তিন দিনে টানা ৫৯টি মামলা দায়ের করে দুদক। মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় দায়ের করা এসব মামলায় মোট আসামি করা হয় ১৫৬ জনকে। আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা রয়েছেন ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণ গ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠান।
এরমধ্যে ব্যাংকের প্রাক্তন এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে ৪৮টি মামলায়। পাশাপাশি সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া ডিএমডি ফজলুস সোবহান ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থ ২৩টি, গ্রেফতার হওয়া মো. সেলিম ৮টি, বরখাস্ত হওয়া ডিএমডি এ মোনায়েম খান ৩৫টি মামলার আসামি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয়, সিএজি কার্যালয় ও খোদ বেসিক ব্যাংকের নানা প্রতিবেদনে এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাচ্চুসহ অনেকের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।