দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ দশক পর পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে চালু হলো নীলফামারীর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সাত মাস পর রোববার (০১ আগস্ট) বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে ৪০ ওয়াগন পাথর নিয়ে একটি মালবাহী ট্রেন চিলাহাটি স্টেশনে এসে পৌঁছায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পাথর বোঝাই ৪০টি ওয়াগনের মালামাল থেকে ভাড়া বাবদ বাংলাদেশ রেলওয়ে ১৫ লক্ষাধিক টাকা আয় করবে। দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া কম-বেশি হবে। নিয়মিতভাবে ভারত থেকে পণ্য এলে চিলাহাটি স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিদিন ৬ থেকে ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবে।
জানতে চাইলে নীলফামারী সদর সার্কেলের (কাস্টমস) রাজস্ব কর্মকর্তা তুষার কান্তি বলেন, দিনাজপুরের চায়না সেভেন ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাক্টশন লি. নামে একটি প্রতিষ্ঠান এসব পাথর ভারত থেকে আমদানি করেছে। এতে সরকার ১১ লাখ ১ হাজার ২৭৫ টাকা রাজস্ব পেয়েছে।
চিলাহাটি রেলস্টেশনের মাস্টার আশরাফুল হক বলেন, ভারতীয় রেল ইঞ্জিনের মাধ্যমে ২ হাজার ২৮৫ দশমিক ২০ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি আমাদের চিলাহাটি স্টেশনে এসেছে। প্রতি ওয়াগনে গড়ে ৫৯ মেট্রিক টন করে পাথর রয়েছে।
রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর লুৎফর রহমান বলেন, পাথরবোঝাই মালবাহী ট্রেনটি নিয়ে তারা নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলস্টেশনে ২০টি ওয়াগন রেখে বাকী ওয়াগন যশোরের নওয়াপাড়া স্টেশনে খালাস করবেন। এদিকে ভারতীয় ইঞ্জিনটি চিলাহাটি স্টেশনে ৪০ ওয়াগান পাথর রেখে ভারতে ফিরে যায়।
পণ্যবাহী ট্রেনের সঙ্গে আসেন ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের এসআর (গুডস) গার্ড নির্মল গোরামি, নরদ পোদ্দার, বিনোদ কুমার, মুকেশ কুমার সিং, এলপি বিবেকানন্দ চৌধুরী, মনোজিৎ পাল চৌধুরী, রাবিশ পাটেল, রাকেশ কুমার।
এ সময় তাদের স্বাগত জানিয়ে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন চিলাহাটি সীমান্ত রেলসংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম, বিভাগীয় রেলের বাণিজ্য কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন, বিভাগীয় লোকমোটিভ প্রকৌশলী আশিষ কুমার, পি ডাবলু আই সুলতান মৃধা প্রমুখ।