দুর্গা উৎসব উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত ৯ দিনে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৫১৬ মেট্রিক টন ইলিশ। নতুন করে দুই দফায় আরও ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন করে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হবে মোট দুই হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানির এই আদেশ কার্যকর থাকবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুুবুর রহমান জানান, দুই দফায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিক টন করে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট দুই হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ৫১৬ মেট্রিক টন। এরমধ্যে একদিন সরকারি ছুটি ছিল।
৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে রপ্তানির এই আদেশ কার্যকর থাকবে। তবে বেশিরভাগ ইলিশ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হবে বলে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে।
ইলিশ মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অর্পিতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক বিশুদানন্দা আচার্জী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় ৪৯টি ও পরে আরও ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়। এবার ভারতে দুই হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করা হবে। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৯৪৮ টাকা।
ভারত ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের কাস্টম থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করানো হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া জানান, এসব ইলিশ দ্রুত রপ্তানির জন্য কাস্টমসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।