যত্নের ত্রুটি রাখেনি ‘পৃথ্বীরাজ’ বাহিনী। পরিচালক চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদীর নির্দেশে তৈরি হয়েছিল ৫০ হাজারটি রাজস্থানী পোশাক এবং মানানসই ৫০০টি পাগড়ি! সেসব হাতে তৈরি পোশাক পরেই অভিনয় করেছেন কাহিনির চরিত্ররা। বিভিন্ন ধরনের পোশাক এবং পাগড়ি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের চরিত্র নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে, এমনটাই মনে করছেন পরিচালক। প্রযোজক আদিত্য চোপড়াও এতেই সায় দিয়েছিলেন।
চন্দ্রপ্রকাশ বলেন, পৃথ্বীরাজের মতো ছবি বানানোর জন্য বিশদে যাওয়াই ছিল মুখ্য। সেই সময়ে রাজা, জনসাধারণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষ যে ধরনের পাগড়ি পরতেন তারই বাস্তব প্রতিলিপি এই ছবিতে থাকবে। আমাদের সেটে পাগড়ি সজ্জার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন, যিনি সব অভিনেতার পাগড়ি পরার প্রক্রিয়াটি তদারকি করেছেন।
তরাইয়ের প্রথম যুদ্ধে মহম্মদ ঘোরিকে হারিয়েছিলেন যে দোর্দণ্ডপ্রতাপ সম্রাট, তিনিই পৃথ্বীরাজ চৌহান। যার ভূমিকায় অভিনয় করছেন অক্ষয় কুমার। সংযুক্তার ভূমিকায় দেখা যাবে মডেল-তারকা মানুষী চিল্লারকে।
প্রাচীন ভারতের শেষ হিন্দুরাজাদের মধ্যে একজন ছিলেন অজমেড়ের সম্রাট পৃথ্বীরাজ। আগলে রেখেছিলেন উত্তর-পশ্চিম ভারতের সীমানা। তবে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে হেরে যান পৃথ্বীরাজ চৌহান।
ছবির চিত্রনাট্য যতই জোরালো হোক, নিখুঁত পোশাক ছাড়া সময়টাকেই ধরা যাবে না যে! তাই রাজস্থান থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল বিশিষ্ট পোশাক শিল্পীকে। তিনিই নিজে হাতে সব সাজ তৈরি করেন। সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নেন অভিনেত্রী মানুষী চিল্লারও। এই প্রথম বড় পর্দায় অভিনয় করছেন তিনি। কাছ থেকে নিখুঁত সেট দেখার কথা বলতে গিয়ে তারও গলায় একরাশ উচ্ছ্বাস ধরা দিল।