৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। যা মোট পরীক্ষার্থীর ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আবেদন করেও পরীক্ষা না দেওয়ায় পিএসসির প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা গচ্চা গিয়েছে। যদিও আবেদন করার সময় পরীক্ষার ফি দিতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের।
পিএসসি জানিয়েছে, শুক্রবার (২০ মে) দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করছিলেন তিন লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে অংশ নিয়েছেন দুই লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। সে হিসেবে পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৭৭.২৪ শতাংশ।
পিএসসি বলছে, আবেদন করা শিক্ষার্থীদের অনুপাতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, হাজিরা শিটসহ আনুষঙ্গিক সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু আবেদন করেও পরীক্ষায় না নেওয়ায় তাদের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা গচ্চা গেল।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বলেন, এবারের ৪৫তম বিসিএসে অংশ নিতে আবেদন করছিলেন তিন লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থী। সব পরীক্ষার্থীর জন্য আমাদের প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। এতে পিএসসির প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা গচ্চা গিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এবার বিসিএসের আবেদন ফি ছিল ৭০০ টাকা। তবে কোটাধারী প্রার্থীদের ফি ছিল ১০০ টাকা।
শুক্রবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একযোগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের পরীক্ষা অনষ্ঠিত হয়।
৪৫তম বিসিএসে দুই হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। আর নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জন। এবারই প্রথম ক্যাডারের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। ক্যাডারের বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জন নিয়োগ পাবেন।
আর শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এছাড়া পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪, প্রশাসনে ২৭৪ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে। নন-ক্যাডারের পছন্দের তালিকা দেওয়া হয়েছে। এর প্রায় অর্ধেক পদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের জন্য। ৪৫৭ জনকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।