কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬ দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ১৪২৫ সালের জন্য ১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং ১৪২৬ সালের জন্য ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেয়া হবে।
কৃষির বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নির্বাচিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিনটি স্বর্ণপদক, ২৫টি ব্রোঞ্জ পদক ও ১৬টি রৌপ্য পদক বিতরণ করা হবে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১২ অক্টোবর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পুরস্কার দেবেন। কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কৃষিমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
প্রত্যেক স্বর্ণবিজয়ী পাবে ২৫ গ্রাম ওজনের ১৮-ক্যারেটের পদকসহ এক লাখ টাকা। রৌপ্যবিজয়ীরা ২৫ গ্রামের পদকসহ ৫০ হাজার টাকা, ব্রোঞ্জ বিজয়ীরা পদকসহ ২৫ হাজার টাকা পাবে।
কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণ, সমবায়, প্রেরণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বাণিজ্যিক চাষ, বনায়ন, পশুপালন ও হাঁস-মুরগী ও মাছ চাষের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে এ পুরস্কার প্রবর্তন করেন, যা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গঠিত সরকার বাতিল করে।
২০০৯ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত পুরস্কারটির প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন-২০০৯’ গঠন করে।
এ খাতের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬’ প্রণয়ন করা হয়।