বশেষে হারিয়ে যাওয়া আকলিমা বেগম (৬৫) ফিরলেন নিজ দেশে। ১৯৮২ সাল থেকে পাকিস্তানে অবস্থানের পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামে পৌঁছান। সাথে এসেছেন তার পাকিস্তানি পুত্র আশরাফ। এর আগে আকলিমা বেগম বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। আকলিমা বেগমের স্বজন জাকারিয়া শেখ জানান, প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর মানসিক ভারসাম্য হারান আকলিমা। এরপর ১৯৮২ সালে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
৪০ বছর পর বেশ কয়েকমাস আগে ফেসবুকে তার খোঁজ পাওয়া যায়। নিখোঁজ আকলিমা বেগম ঘর বেঁধেছিলেন পাকিস্তানের শিয়ালকোটের দিলওয়ালী নামক জায়গায় এক ব্যক্তির সাথে। সেখানেই বসবাস করতেন তিনি। মানসিক ভারসাম্য হারানোয় পূর্বের কোন স্মৃতিই তার মনে নেই। শুধু তার জন্মভিটা তালা উপজেলার গঙ্গারামপুর নামটি মনে ছিলো।
আকলিমা বেগমের প্রথম পক্ষের ছেলে হেকমত আলী বলেন, ‘তিনি কিভাবে পাকিস্তান গিয়েছিলেন সে ঘটনা মনে করতে পারছেন না। কয়েকমাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর তিনি বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাকিস্তানে বসবাসরত তার দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে আশরাফ ও তার স্বজনদের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসার জন্য পাসপোর্ট ও ভিসাসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান থেকে বিমানযোগে তিনি বাংলাদেশে আসেন।’ হেকমত আলী আরও জানান, সুদীর্ঘ ৪০ বছর পর মাকে কাছে পেয়ে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি আর কোনোদিন ফিরে আসবেন সেই আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন।