সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর দিনে তিনটি সংসদীয় আসনের ভোট আয়োজনে আপত্তি জানিয়েছে দলটি। করোনার মধ্যেও নির্বাচন আয়োজনে কোনো সমস্যা নেই জাতীয় পার্টির (জাপা)। কিন্তু এরশাদের মৃত্যুর দিন হওয়ায় এদিন ভোট বাতিলের দাবি জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (৮ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানায় দলের একটি প্রতিনিধি দল।
পরে দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ১৪ জুলাই আমাদের দলের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। সেদিন তিনটি জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিন আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচন করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবে না। বিষয়টি আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি। তিনি (সিইসি) বলেছেন, আমি একা কিছু করতে পারবো না। পুরো কমিশন বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা বসে আপনাদের পরে এ বিষয়ে জানাবো।’
১৪ তারিখেই যদি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা এখনই বলতে পারছি না। এ বিষয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা করতে হবে।’
করোনা সংক্রমণের সময় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘সরকারই এগুলো আমাদের থেকে ভালো জানে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি যাতে পালন হয়, সরকার নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে এবং নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। নির্বাচনগুলোর জন্য অনেক বেশি দেরি হয়ে গেছে। ৯০ দিনের মধ্যে করার কথা ছিল। কিন্তু যারাই নির্বাচন করবে তারা অবশ্যই সবাইকে করোনার যে স্বাস্থ্যবিধি আছে তা মেনেই করতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী, দফতর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সাহিত্য ও কৃষ্টি বিষয়ক সম্পাদক সুমন আশরাফ, যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম।
এছাড়া বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (গণসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।