৩৭৯ জন রোহিঙ্গা প্রায় আট মাস পর ভাসানচরের পথে রওনা হয়েছেন । ২৫ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর জাহাজ পেঙ্গুইন তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রাম থেকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২৪ নভেম্বর বুধবার ভাসানচরে নেওয়ার উদ্দেশে রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়া থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়। রাতে তারা চট্টগ্রামের বিএফ শাহিন কলেজ মাঠের অস্থায়ী তাঁবুতে অবস্থান করেন। সেখানেই তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। দুপুরের পর রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ভাসানচরে গিয়ে পৌঁছাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় বিএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে পতেঙ্গা বোট ক্লাবে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।
রোহিঙ্গা মামুন মিয়া বলেন, চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ভাসানচর যাচ্ছি। এর আগে যাওয়া আত্মীয়-স্বজনের কাছে ভাসানচরের সুযোগ-সুবিধার কথা শুনে তিনি সেখানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আশা করছি ক্যাম্পের ঘিঞ্জি পরিবেশ থেকে ভাসানচরের খোলা পরিবেশে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারবে। ভাসানচরের উন্নত জীবনযাপনের কথা শুনে আমরা যাচ্ছি।
এর আগে প্রায় ১৮ হাজার ৬০০ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঝখানে প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন (২০২০ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত হিসাব)।