এক বছর পর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিনেই সরকারি ছুটির কবলে পড়তে হলো। সরকার যদি ঘোষিত তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে অটল থাকে তারপরও ৩০ মার্চ খুলতে পারবে না। কারণ ওই দিন শবে বরাতের সরকারি ছুটি। অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে ৩০ মার্চের আগের দিন আগে অথবা পরের দিন।
আগামী ২৯ মার্চ সোমবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। রোববার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।
এজন্য সোমবার (১৫ মার্চ) রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। ওই হিসেবে আগামী ২৯ মার্চ সোমবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। শবে বরাতের পর দিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। এ ছুটি পড়েছে ৩০ মার্চ (মঙ্গলবার)। সেজন্য ওই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পূর্বঘোষিত তারিখ থাকলেও সে দিন খোলা সম্ভব না।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। করোনা সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতির কারণে নির্ধারিত তারিখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনার সংক্রমণ যদি বাড়তে থাকে তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ৩০ মার্চ খুলবে। এরপর সর্বশেষ ছুটি ২৯ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়ে আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এ ছুটি বাড়ানোর আদেশে বলা হয়, আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। একইভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এই নির্দেশনা দিয়েছে।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দফায় দফায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।