করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ কমাতে দুই সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন দেয়ার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটি। শুক্রবার জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত এক মাস ধরে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি। এ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ থেকে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। তবুও বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে না। যে কারণে করোনা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে। এই সংক্রমণ ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে আরও দুই সপ্তাহের লকডাউন করা যেতে পারে। বিশেষ করে সিটি করপোরেশন ও উচ্চ সংক্রমণ এলাকাগুলোতে দুই সপ্তাহের পূর্ণ লকডাউন দেওয়া যেতে পারে। এটি শেষ হলে সংক্রমণ বিবেচনা করে আবার বিধিনিষেধ দেওয়া যেতে পারে।
দিন দিন করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে শপিং মল, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্তারাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। গত রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে ১১ দফা নিষেধাজ্ঞায় সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে খোলা রাখার সুযোগ দেওয়া হয়।
বুধবার থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। কিন্তু করোনার প্রকোপ না কমায় কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করা হয় জাতীয় কারিগরি কমিটির পক্ষ থেকে।
শুক্রবার পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নমুনা পরীক্ষার কেন্দ্রগুলোয় ভিড় বেড়েছে। পরীক্ষা করাতে ও ফল পেতে সময় লাগছে। টেস্ট করাতে যারা আসছেন তাদের অধিকাংশই বিদেশগামী যাত্রী। এই বিদেশি কর্মজীবী মানুষরা ছাড়া অন্যান্যরা বেসরকারি পরীক্ষাকেন্দ্রে নমুনা পরীক্ষা করতে পারলে সরকারি পরীক্ষাগারের ওপর চাপ কমে আসবে। এতে দ্রুত ফল পাওয়া যাবে এবং করোনা রোগীকে আইসোলেশনে রাখা সম্ভব হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশের টিকা কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়েছে। এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে। সরবরাহ নিশ্চিত করতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আমদানি করার পুনরায় সুপারিশ করা হলো।