আগামী ১০ মে অনুষ্ঠিতব্য রাজশাহী ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুয়া)-এর নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রুয়া অ্যাডহক কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন।
তিনি বলেন, অ্যাডহক কমিটির বৈঠকের সিন্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত রুয়া নির্বাচন স্থগিত করা হলো। নির্বাচন কমিশনার প্রফেশন নুরুল হোসেন চৌধুরী স্যার ও প্রফেসর হাবিবুল হক পদত্যাগ করছেন। তাদেরকে ভয় ভীতি দেখানো হয়েছে, তারা যেন নির্বাচন কমিশনের কাজ না করেন। নুরুল হোসেন স্যার পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমাদেরকে জানিয়েছেন, তিনি দুই রাতে ঘুমাতে পারেননি। হাবিবুল হক স্যারও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। কোনো একটা পক্ষ চাচ্ছিল না নির্বাচন হোক। আবার হয়তো অ্যাডহক কমিটি বসানো হবে, কমিশন গঠিত হবে।
ভয়-ভীতির বিষয়ে তিনি বলেন, যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্বাচন না হওয়ার দিকে ছিল, তারাই ভয়ভীতি দেখিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গঠনতন্ত্র না মানার অভিযোগ এনে আগেই রুয়া নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিএনপিপন্থী প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। তবে, নির্বাচন যথাসময়ে আয়োজনের জন্য অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক বরাবর বুধবার (৩০ এপ্রিল) স্মারকলিপি দিয়েছিলেন জামায়াতপন্থী প্রাক্তন শিক্ষার্থরা। বৃহস্পতিবারও উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতপন্থী প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি দল। এ সময় তারা যথাসময়ে নির্বাচন নাহলে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বুধবার নির্বাচন কমিশনার প্রফেশন নুরুল হোসেন চৌধুরী ও প্রফেসর হাবিবুল হক পদত্যাগ করেন। এদিন দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও রুয়া নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটিকে রুয়া নির্বাচনে অধ্যাপক মাসউদ প্রার্থী হওয়ার কারণে ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করছিলেন অনেকে।