করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে জারি করা বিধিনিষেধ শেষে ২৯ এপ্রিল খুলে দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। যেসব দেশে করোনার প্রকোপ বেশি ওইসব দেশকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রেখে অন্য দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলে আগ্রহী বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এ লক্ষ্যে আজ জরুরি বৈঠক ডেকেছে বেবিচক। বৈঠকে অভ্যন্তরীণ কক্সবাজার রুট চালুর বিষয়েও আলোচনা হবে।
জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার পর ২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক রুটে শিডিউল ফ্লাইট চালুর বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। কয়েকটি দেশে নিষেধাজ্ঞা রেখেই আমাদের ফ্লাইট চালু করতে হচ্ছে। তবে কোন কোন দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল করবে না সেই বিষয়ে নির্দেশনা দেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বৈঠক করছি। তিনি আরও বলেন, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলও স্বাভাবিক হবে। এই ক্ষেত্রে বেবিচকের নিয়মাবলি মানতেই হবে এয়ারলাইন্সগুলোকে। তবে কক্সবাজারে ফ্লাইট চলাচলের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় চলতি মাস থেকে ইউরোপ এবং ১২ দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বেবিচক। করোনার প্রকোপ কমে আসা কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের নামের তালিকায়ও পরিবর্তন আসার কথা রয়েছে। ২৯ এপ্রিল অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিকভাবে শুরু হবে। বর্তমানে সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু হয়েছে। পুরোপুরি ফ্লাইট চালু হলেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবেই।
বেবিচকের এক কর্মকর্তা বলেন, আন্তঃনগর বাস ও ট্রেনের সঙ্গে সমন্বয় করে পুরো পরিসরে ২৯ এপ্রিল থেকে ফ্লাইট চলাচল করবে। তবে কক্সবাজার রুট খুলে দেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এই রুটটি খুলে দিলে অনেক পর্যটক ঘুরতে যাবেন এবং সেখানে জনসমাগম সৃষ্টি হবে। তাই এই রুটে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে এখনই ভাবা হচ্ছে না। তাছাড়াও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পর্যটন স্পট এবং হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো বন্ধ রয়েছে। সেগুলো খুলে দেওয়া হলে কক্সবাজার ফ্লাইটও খুলে দেওয়া হতে পারে। তিনি আরও বলেন, ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আজ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হওয়ার কথা আছে। বৈঠকে বিমান-পর্যটন, স্বাস্থ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। সেখানেই ফ্লাইট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। সর্বাত্মক লকডাউনের কারণে ১৪ এপ্রিল আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইটও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে প্রবাসী শ্রমিকদের আসা-যাওয়া ও ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ১৭ তারিখ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর এবং ২৫ তারিখ থেকে কুয়েত ও বাহরাইনে বিশেষ ফ্লাইট চালুর অনুমতি দেওয়া হয়।