আগের ঘোষণা অনুযায়ী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে তালিকা প্রণয়নের কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে সরকার। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ‘ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর’ উদ্বোধন করার পর এই মন্তব্য করেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, এটা হবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাথমিক তালিকা। যাদের ব্যাপারে কোনো বিতর্ক নেই, তাদের তালিকাটাই এখন প্রকাশ করা হবে। যাদেরকে নিয়ে বিতর্ক আছে কিংবা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, যাচাই-বাছাই শেষে তাদের তালিকা পরে প্রকাশ করা হবে। যাচাই-বাছাইয়ের পদ্ধতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, যদি কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা তথা লাল মুক্তিবার্তায় থাকে তাহলে তিনি যাচাই-বাছাইয়ের আওতার বাইরে থাকবেন।
এছাড়া মন্ত্রণালয় ৩৩টি ক্যাটাগরি ঠিক করেছে, সেগুলোর শর্ত পূরণ করে তবেই একজন ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারেন। এভাবেই এগিয়ে চলছে যাচাইয়ের কাজ। ‘রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের ব্যাপারেও কাজ করছে সরকার। সেই তালিকা প্রকাশ করা হবে চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বরের আগে কোনো এক সময়। ইতোমধ্যে জামুকাকে (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) এই দায়িত্ব দিয়ে আইন সংশোধন করা হয়েছে।’ উল্লেখ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।