২৪ ডিসেম্বর সমমনা দলগুলোকে নিয়ে সারাদেশে জেলা ও মহানগর পর্যায়ে বিএনপি যে গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেদিন আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন থাকায় বিএনপির প্রতি এই অনুরোধ জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় এই অনুরোধ জানান সেতুমন্ত্রী কাদের।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তি ও গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে আজ সারাদেশের সব বিভাগীয় ও জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করবে বিএনপি।
এরপর ২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সব মহানগর ও জেলা সদরে গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছি দলটি। এটা হবে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি। এই গণমিছিলে যোগ দিতে সব সমমনা দল এবং সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার এমন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনও আছে। একইদিন দুই দলের কর্মসূচি থাকায় সংঘাত যেন না হয় সেজন্য বিএনপিকে কর্মসূচি না করার অনুরোধ জানান সেতুমন্ত্রী কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৪ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় সম্মেলন, আমরা তাদের অনুরোধ করব ঢাকা শহরে অহেতুক সংঘাতের উসকানি দেবেন না। সারা দেশ থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা আসবে, আমরা সংঘাত চাই না।
আওয়ামী লীগের সম্মেলন সাদামাটা হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কোনো আলোকসজ্জা হবে না। সাজসজ্জাও হবে মঞ্চ কেন্দ্রিক; সামান্য, যেটা না হলেই না কিন্তু উপস্থিতি হবে বিশাল।
বিএনপি ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ ফ্লপ হয়েছে দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের মাথা খারাপ হয়নি তাদেরই হয়েছে। বেপরোয়া হয়ে গেছে। ১০ তারিখ সুপার ফ্লপ। সারা দেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থান ছিল আওয়ামী লীগের। তারা কোথায় ছিল? গোলাপবাগে মিটিং করেছে। পল্টনে করবেই। করবে বললেই হয় না! ২৪ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় সম্মেলন, আমরা তাদের অনুরোধ করব; ঢাকা শহরে অহেতুক সংঘাতের উসকানি দেবেন না। আপনাদের গণমিছিল কর্মসূচি বাইরে করেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি কি না বলেছিল? ১১ তারিখ তারেক জিয়ার এয়ারপোর্টে আসার কথা। ১০ তারিখ তাদের লাল কার্ড দেখানোর কথা। জনগণ তাদেরকে লাল কার্ড দেখাল।’
বিএনপির ঘরে গণতন্ত্র শৃঙ্খলিত উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘নিজের ঘরের গণতন্ত্র নাই। তারা আবার গণতন্ত্র আনবে। তাদের ঘরেই গণতন্ত্র নাই। গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করবে। তাদের ঘরেই গণতন্ত্র শৃঙখলিত।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফিসহ মহানগরের নেতারা।