শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আর বাড়ছে না। ২২ ফেব্রুয়ারি খুলে দেওয়া হতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শনিবার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পৃথক বক্তব্যে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী-২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি থাকছে।
এর আগে সকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি যোগ দেন। ‘ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড ন্যাশন্স কনফারেন্সের’ সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, করোনা সংক্রামণের হার কমছে। হয়তো আরও কমবে। তাই শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে রোববার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে সেটি আরও দুদিন পর হবে। সেখানে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হবে। এ প্রসঙ্গে দীপু মনি আরও বলেন, আমরা কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে পরামর্শ করে এর আগেও বিজ্ঞানসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সামনেও নেব।
এদিকে, শনিবার মানিকগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমে আসায় ২১ ফেব্রুয়ারির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে কোনো সমস্যা হবে না। দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার শুভ্র সেন্টারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সরকার সিদ্ধান্ত নেয়। আমাদের কাছে পরামর্শ চাইলে আমরা তা দিই। ২১ ফেব্রুয়ারির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন। তবে আমাদের পরামর্শ থাকবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়। আর স্কুল-কলেজের যেসব ছেলেমেয়ে এখনো করোনাভাইরাসের টিকা নেয়নি তারা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা নিয়ে নেয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঝুঁকি এখন অনেকটাই কমে গেছে। এরপরও আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান সীমিতভাবে করার জন্য যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেসবও মেনে চলতে হবে। মতবিনিময় সভায় জেলা সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরী, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশাদ উল্লাহ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।