২০২২ সালে পশ্চিম এশিয়ার কাতার সফলভাবে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করে। আবার এশিয়ায় ফিরছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। ২০৩৪ সালে আরবের দেশটি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। সৌদিতে ৪৮ দেশের বিশ্বকাপ ম্যাচগুলো পাঁচ শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপ দেখতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসবে ভক্তরা। সমর্থকদের কথা চিন্তা করে টুর্নামেন্ট ঘিরে চলবে না কোনো মদ্যপান, পর্যটকদের জন্যও এই আইন শিথিল করবে না দেশটি।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত যুবরাজ খালিদ বিন বন্দর আল সৌদ জানিয়েছেন, ২০৩৪ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ভক্তদের মদ্যপান করতে দেয়া হবে না। বলেছেন, ‘মদ্যপান ছাড়াও প্রচুর মজা করা যায়। এটি শতভাগ প্রয়োজনীয় নয়, আপনি যদি চলে যাওয়ার পরে মদ্যপান করতে চান তবে আপনাকে স্বাগত। তবে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে মদ্যপান নেই।’
বিশ্বকাপ উপভোগ করতে আসা দর্শককে সৌদি আরবের সংস্কৃতিকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। আমাদের সংস্কৃতি সীমানার মধ্যে থেকেই তাদের আপ্যায়ন করতে পেরে আমরাও খুশি থাকব। কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি অন্যকারো জন্য পরিবর্তন করতে চাই না।’
সমকামী ভক্তরা বিশ্বকাপে নিরাপদ প্রসঙ্গে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত যুবরাজ খালিদ বলেন, ‘সৌদিতে আমরা সবাইকে স্বাগত জানাব। এটি কোনো সৌদি অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি বিশ্ব অনুষ্ঠান। যারা আসতে চান তাদের আমরা স্বাগত জানাব।’
এর আগে ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে কাতার প্রথমে মদ নিষিদ্ধ করলেও পরবর্তী সময়ে জানিয়েছিল কিছু কিছু জায়গায় মদ পাওয়া যাবে। বিদেশি পর্যটকরা সেখান থেকে কিনতে পারবেন।
দীর্ঘসময় ধরেই সৌদি আরবে মদ কেনা-বেচা নিষিদ্ধ। মদ্যপানের বিরুদ্ধে দেশটিতে রয়েছে কঠোর আইন। সৌদি আরবের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি মদ্যপান করে ধরা পড়লে তাকে বেত্রাঘাত করাসহ কারাদণ্ড বা আর্থিক জরিমানা করা হয়।