প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সাত প্রকল্পে অর্থায়নের প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ২০২৭ সালের পর দেশে গ্যাসের চাহিদা হবে প্রতিদিন ৬০০ কোটি ঘনফুট। সেজন্য ১৪৬ কূপ খননের পাশাপাশি আরও দুটি ভাসমান টার্মিনালের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি করা হবে। তখন গ্যাসের কোন সংকট থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা করেছি, মহেশখালী থেকে একটি এলএনজি পাইপ লাইন নির্মাণের প্রস্তাব থাকবে আমাদের। এখন দৈনিক ৩৫০০ এমএমসিএফ গ্যাসের চাহিদা থাকলেও আগামী ৫ বছরের মধ্যে তা ৬০০০ এমএমসিএফডি হয়ে যাবে। সে কারণে আমদানি ও দেশীয় যোগান থেকে এটা মেটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
২০২৭ সালের পর দেশে গ্যাস সংকট থাকবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে আমরা ১৪৬টি কূপ খনন করব। সেজন্য অনশোর বিডিংয়ের একটি পিএসসি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমরা আরও কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। এর অংশ হিসেবে আমরা চীনকে গ্যাস পাইপ লাইনের প্রস্তাব দিচ্ছি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরে দুইবার বিদ্যুতের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। আবারও সময় মত দাম সমন্বয় করা হবে। সরকার গত বছর বিদ্যুতে যে ভর্তুকি রেখেছিল তা মোটামুটি বন্ড ইস্যু করে ও অন্যান্যভাবে পূরণ করা গেছে। গত বছরের বাকি টাকাটা পাওয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’
নবায়নযোগ্য জ্বালানির হিস্যা বাড়ানোর পক্ষে সরকারের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এটা ১০ শতাংশ করা আমাদের মূল টার্গেট। (মোট উৎপাদন) ২৬ হাজার ধরলে (রিনিউয়েবলে) ২৬০০ মেগাওয়াট লাগবে। এখন ৪০০ মেগাওয়াটের মত হচ্ছে। আড়াই হাজার মেগাওয়াটের এলওয়াই দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে চীন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। আর এ মাসেই নেপালের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করা হবে বলে জানান নসরুল হামিদ।