নতুন বছরের উন্মাদনা এখনো ফুরিয়ে যায়নি। এরইমাঝে শুরু হয়ে গিয়েছে ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা। সিডনিতে পাকিস্তান খেলতে নেমেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। একইদিনে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে ভারত। চলতি বছরে আছে বিশ্বকাপের সূচিও। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মৌসুমে চলছে বিশ্বের ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগ। সবমিলিয়ে জানুয়ারি থেকেই উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে জেন্টেলসম্যান গেম ক্রিকেট।
ক্রিকেটের এই ব্যস্ততম বছরেই দেখা যেতে পারে রেকর্ডের ভাঙাগড়া। ক্রিকেটের বিভিন্ন ফরম্যাট মিলিয়ে অন্তত ৪টি নতুন রেকর্ড এবার হয়ে যেতেই পারে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সম্ভাব্য সেসব রেকর্ড।
টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক উইকেট
২০২৪ সালে ভেঙে যেতে পারে ডোয়াইন ব্রাভোর রেকর্ড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা বনে যাওয়া এই ক্রিকেটার সবকটি লিগ আর জাতীয় দল মিলে ৬০০ এর বেশি উইকেট নিয়েছিলেন। স্বীকৃত টি-২০তে সব থেকে বেশি উইকেটের মালিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটার।
তাকে টপকানোর সুযোগ রয়েছে আফগানিস্তানের রশিদ খান। তিনি ৪১০ ম্যাচে ৫৫৬টি উইকেট নিয়েছেন। ব্রাভোকে টপকাতে তার প্রয়োজন আর ৬৪টি উইকেট। ব্রাভো এখন অনেকটাই আড়ালে। আর ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রশিদ। নতুন রেকর্ড দেখতে পাওয়া তাই অস্বাভাবিক না।
টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক রান
উইকেটের পাশাপাশি রানের ক্ষেত্রেও ভাঙতে পারে পুরাতন রেকর্ড। এর পেছনে অবশ্য বেশকিছু যদি-কিন্তুর সমীকরণ আছে। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব থেকে বেশি রানের মালিক ভারতের বিরাট কোহলি (৪ হাজার ৮ রান)। তার পরেই রয়েছেন রোহিত শর্মা (৩ হাজার ৮৫৩)। তৃতীয় স্থানে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপ্টিল (৩ হাজার ৫৩১)। ২০২২ সালের বিশ্বকাপের পর থেকে টি-টোয়েন্টিতে দেখা যায়নি কোহলি-রোহিতকে। কিউই ব্যাটারও এখন আর আন্তর্জাতিক দলে সুযোগ পান না।
এই তিন ক্রিকেটারকে টপকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে পাকিস্তানের বাবর আজমের। চতুর্থ স্থানে থাকা বাবর পাকিস্তানের হয়ে ৩ হাজার ৪৮৫ রান করেছেন। এবছর বেশকিছু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবেন বাবর। করতে হবে আরও ৫২৪ রান। তবে বিশ্বকাপে কোহলি আর রোহিত সুযোগ পেলে, রানের রেকর্ড গড়া একটু কঠিনই হবে বাবরের জন্য।
প্রথম পেসার হিসেবে ৭০০ টেস্ট উইকেট
রেকর্ড গড়তে পারেন ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন। ৪১ বছর বয়সেও টেস্ট খেলে চলেছেন। এখনও কমেনি তার বোলিংয়ের ধার। ১৮৩ টেস্টে ৬৯০টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর ১০টি উইকেট নিলেই টেস্টের ইতিহাসে প্রথম পেসার হিসাবে ৭০০ উইকেটের মালিক হয়ে যাবেন অ্যান্ডারসন।
বছরের শুরুর দিকেই ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ রয়েছে ইংল্যান্ডের। সেখানেই এই রেকর্ড গড়তে পারেন অ্যান্ডারসন। আর যদি সিরিজে ১৯টি উইকেট নিতে পারে, তবে টেস্ট ইতিহাসেরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হবেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট শেন ওয়ার্ন টেস্টে ৭০৮টি উইকেট নিয়ে আছেন দ্বিতীয় স্থানে।
একইসঙ্গে আইসিসি-র সব বিশ্বকাপ
অস্ট্রেলিয়ার কাছে সুযোগ রয়েছে এক অনন্য রেকর্ড গড়ার। অজিরা মুহূর্তে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এক দিনের বিশ্বকাপজয়ী দল। এই বছর যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া, তা হলে সব ধরনের ক্রিকেটে আইসিসি বিশ্বকাপজয়ী হবে তারা। এমন রেকর্ড এর আগে কোনও দল গড়তে পারেনি।
২০২২ সালে ইংল্যান্ড একইসঙ্গে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপাধারী ছিল। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়ন ছিল নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সামনে সুযোগ এবার সেসব পাশ কাটিয়ে যাওয়ার।