২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের চার গুণ বেশি সক্ষমতার বে-টার্মিনালে কাজ শুরু হবে । এর মধ্যে একটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করবে। বাকি দুটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে বিদেশি উদ্যোক্তাদের সহায়তায় নির্মিত হবে। ইতোমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটির (পিএসএ) সঙ্গে জিটুজি । এছাড়া ডিপি ওয়ার্ল্ড, ডেনমার্ক, চায়না থেকে বিনিয়োগকারীরা বাকি দুটি টার্মিনাল নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সরজমিনে পরিদর্শন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, পিপিপি অথরিটি ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার সমুদ্রপথে এবং উপকূলীয় এলাকায় । সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি দল প্রকল্প এলাকায় সাংবাদিকদের পুরো বে-টার্মিনাল প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বে-টার্মিনাল প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে ৬৮ একর বেসরকারি ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি খাস ৮০৪ একর জমি ইতিমধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও সমুদ্র থেকে ভরাটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে বিপুল পরিমাণ জমি । চট্টগ্রাম বন্দরে যেখানে বর্তমানে সাড়ে ৯ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়ে। বে-টার্মিনালে সেক্ষেত্রে সাড়ে ১২ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারবে। বে-টার্মিনালের কর্মকাণ্ড ২৪ ঘণ্টা চলবে। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরে শুধু জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে দিনের বেলায় জাহাজ চলাচল করে থাকে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরসংলগ্ন পতেঙ্গার সমুদ্র উপকূলে বে-টার্মিনালের প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকা পরিদর্শন শেষে পদ্মা সেতু, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর ও পায়রা বন্দরের ন্যায় বে-টার্মিনালও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের অগ্রাধিকার প্রকল্প। সুতরাং এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থের কোনো সংকট হবে না। এটি সমন্বিত উদ্যোগে দ্রুত বাস্তবায়নে পুরো টিম কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু ভরাট কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দেশের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, বে-টার্মিনাল ২০২৪ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সবাই কাজ করছেন।