উন্নত ও নিরাপদ জীবনযাপন, চাকরি বা পড়াশোনার জন্য বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দেশ কানাডা। আর তাই উত্তর আমেরিকার এই দেশটি বর্তমানে অভিবাসীদের কাছে একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
অনেকের কাছেই এই দেশটির স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। মূলত এমন স্বপ্ন যারা দেখছেন, তাদের জন্য সুখবর রয়েছে। আরও স্পষ্ট করে বললে যারা এক্সপ্রেস এন্ট্রির মাধ্যমে কানাডায় চাকরি ও স্থায়ী বসবাস (পিআর) খুঁজছেন তারা তাদের স্বপ্ন সহজেই পূরণ করতে পারেন।
উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে বর্তমানে ১০ লাখ চাকরির সুযোগ রয়েছে! গত ৯ আগস্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভ মিন্ট।
একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসে লেবার ফোর্স সার্ভের একটি সমীক্ষায় কানাডায় বর্তমানে নিম্ন বেকারত্বের হারের সাথে উচ্চহারে কর্মসংস্থান খালি থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে কানাডার বিভিন্ন সেক্টরে ক্রমবর্ধমান শ্রম ঘাটতির বিষয়টি তুলে আরও বলা হয়েছে, আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক অভিবাসীকে আমন্ত্রণ জানাতে দেশটি বাধ্য হবে।
শুধুমাত্র ২০২২ সালেই কানাডায় ৪ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি অভিবাসীকে স্থায়ী বাসিন্দা (পিআর) হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে। আর ২০২৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হবে ৪ লাখ ৫০ হাজার।
কর্মসংস্থান এবং বেতনের সমীক্ষা অনুযায়ী, সমগ্র কানাডার ভেতরে অন্টারিওতে চাকরি খালি রয়েছে সবচেয়ে বেশি। সেখানে বর্তমানে ৩০ হাজার চাকরির সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে ম্যানিটোবায় ২ হাজার ৫০০টি চাকরির শূন্যপদ রয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক পেশাদার, বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত পরিষেবা খাতে চাকরি বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের মে মাস থেকে কানাডায় তাদের নিয়োগকর্তার কাছ থেকে বেতন বা সুবিধা গ্রহণকারী কর্মচারীর সংখ্যা প্রথমবারের মতো হ্রাস পেয়েছে।
কোন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি শূন্যপদ রয়েছে?
ইতোমধ্যে যে খাতগুলোতে কর্মসংস্থান ব্যাপকভাবে হ্রাস হয়েছে তা হলো- শিক্ষা পরিষেবা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সহায়তার মতো পরিষেবা-উৎপাদনকারী খাত।
সমীক্ষা অনুসারে, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক পরিষেবা খাতে চাকরির শূন্যপদের হার তীব্রভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজারটিতে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শূন্যপদের হারের তুলনায় যা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে এটি ২০২১ সালের মে মাসের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
নোভা স্কোটিয়া এবং ম্যানিটোবা উভয় প্রদেশেই গত মে মাসে জব ভ্যাকেন্সির হার ১০ শতাংশের বেশি ছিল। মূলত আবাসন এবং খাদ্য পরিষেবা খাতেই ১ লাখ ৬১ হাজার শূন্যপদ রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ দু’টি।