কঠোর লকডাউনে আগামী ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে পারবে না। এ সময়ে মুভমেন্ট পাসও থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ১-৭ জুলাই পর্যন্ত খুবই ‘স্ট্রিক্ট ভিউতে’ যাচ্ছে। সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে।
তিনি বলেন, স্ট্রিক ভিউতে যাচ্ছি আমরা। ১ জুলাই ভোর ৬টা থেকে ৭ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত খুব স্ট্রিক ভিউতে যাচ্ছি আমরা। খুবই স্ট্রিক ভিউতে। কারণ চারটি বিভাগের সঙ্গে আমরা ভিডিও কনফারেন্স করে পর্যালোচনা করে দেখেছি। মাঠপর্যায়ে কমিশনার, ডিসি, ডিআইজি, এসপি, সিভিল সার্জন, জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন। সবার বক্তব্য দেশের একটা অংশ ওরেঞ্জ, রেড বা ব্রাউন হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এখন স্ট্রিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছাড়া উপায় নেই। কিছু বাস্তব কারণের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত করা যাচ্ছে না। সেজন্য ১ জুলাই থেকে শুরু হবে। ১ জুলাই থেকে স্ট্রিক্ট রেস্ট্রিকশনে যাচ্ছি। বাস্তবায়ন কৌশল এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (২৯ জুন) বা বুধবার (৩০ জুন) বসে নির্ধারণ করবো।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আর্মি, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন পুলিশ টহলে থাকবে। মানুষ যেনো কোনোভাবেই ঘর থেকে বের না হতে পারে তা মনিটর করবে। সশস্ত্র বাহিনী টহল দেবে। কেউ কথা না শুনলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া তাদের কাজের মধ্যে থাকবে। রিকশা চলবে কিনা, আদেশে বলে দেওয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এবার মুভমেন্ট পাস থাকবে না। কেউ বের হতে পারবে না, পরিষ্কার কথা। যারা ইমারজেন্সি তারা সবসময় বের হতে পারবেন।
মুভমেন্ট পাস না থাকলে বিশেষ প্রয়োজনে কেউ কীভাবে বের হবে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বের হওয়া যাবে না, বাসায় থাকতে হবে সবাইকে। কিন্তু ধরেন দাফন-কাফন করতে হবে, সেটা তো বাসায় করা যাবে না, সেসময় বের হওয়া যাবে। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাবেন, সেক্ষেত্রে বের হতে পারবেন। পোশাক কারখানা ও রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খোলা থাকবে কিনা তা আদেশে বলে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, আমাদের যেটা এক্সপেরিয়েন্স সেটা হলো, চাপাইনবাবগঞ্জ স্ট্রিকলি ব্লক করে দেওয়া সংক্রমণ অনেক কমে গেছে। সাতক্ষীরায় ইমপ্রুভ করেছে। যেখানে আমরা মুভমেন্ট রেস্ট্রিক করে দিয়েছি সেখানে ইমপ্রুভ করেছ। সরকার যদি মনে করে আরও সাতদিন যেতে হবে সেটাও বিবেচনায় আছে। এটাকে লকডাউন না বললেও নিষেধাজ্ঞা বলা হবে, জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
লকডাউনের মধ্যে সাধারণ মানুষের কী হবে- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা বৈঠকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় যথাসম্ভব গতবারের মতো গ্রোগ্রাম নিতে হবে। বিশেষ করে শহর এলাকায় বেশি সমস্যা হয়, সেখানে খেয়াল রেখে যেন সাহায্য নিশ্চিত করা হয়।