রংপুরের পীরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আবু সাঈদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এম আলী আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আবু সাঈদ পলাতক ছিলেন। মামলার অপর আসামি আবু সাঈদের ১৮তম স্ত্রী তাছকিরা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার অনন্তরামপুর গ্রামের তাজিম উদ্দিনের মেয়ে তানজিনা খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার পালগঢ় গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদের বিয়ে হয়। তানজিনা ছিলেন আবু সাঈদের ১৭তম স্ত্রী। পরবর্তীতে আবু সাঈদ তাছকিরা বেগম নামে আরও এক নারীকে নিয়ে করেন।
ঘটনার দিন ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ১৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে আবু সাঈদ তার নববিবাহিত স্ত্রী তাছকিরার সহযোগিতায় তানজিনাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে মরদেহ পাশের ধানক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন তানজিনার বাবা তাজিম উদ্দিন।
ওই বছরের ১৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক। ৩০ জুলাই মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১০ সালের ২৬ জুলাই জামিন পেয়ে কিছুদিন আদালতে হাজিরা দিয়ে ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে পলাতক আছেন আবু সাঈদ। অপরদিকে, তাছকিরা বেগম ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিন পেয়ে ২০১৪ সালের ১৮ মে থেকে পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি তাজিবুর রহমান লাইজু বলেন, অভিযুক্ত আবু সাঈদ যৌতুকের লোভে একের পর এক বিয়ে করছিলেন। তানজিনাকে বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা যৌতুকের মধ্যে ১০ টাকা দেন তার বাবা। বাকি ১৫ হাজার টাকার দাবিতে তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ আদালতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। পরে বিচারক আবু সাঈদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।