১৬ বছরের কিশোরের রিলিজ ক্লজ ১ বিলিয়ন!

বয়স মাত্র ১৬, কিন্তু এখনই কিশোর নোয়া দারভিচের পেছনে বড় স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। ‘লা মাসিয়া’ অ্যাকাডেমি বরাবরই খুদে ফুটবলার গড়ে তোলার কারখানা। কাঁচা হীরে চিনতে ভুল করেনি খুব একটা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো জার্মানির এক কিশোর। ইরাকি বংশোদ্ভুত এই জার্মান বালকই নোয়া। ১৬ বছর বয়সেই যার রিলিজ ক্লজ এক বিলিয়ন ইউরো। 

এক বিলিয়নের রিলিজ ক্লজ ঠিক কতখানি বড় তার আঁচ পাওয়া যায় এই তালিকায় থাকা অন্য ফুটবলারদের নাম দেখলে। রিয়াল মাদ্রিদে ভিনিসিয়াস জুনিয়ার, রদ্রিগো কিংবা ব্যালন ডি’অর বিজয়ী করিম বেনজেমার রিলিজ ক্লজ ছিল ১ বিলিয়ন ইউরো।

নোয়া দারভিচের নামের পাশে এখনই দেওয়া হয়েছে বিষ্ময়বালক উপাধি। ফ্রেইবুর্গের বয়সভিত্তিক দল থেকে ইরাকি বংশোদ্ভূত এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকে গতকাল সই করিয়েছে বার্সা।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ত’ অবশ্য আগেই এমন ইঙ্গিত দিয়েছিল। আর্সেনাল, বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে বার্সেলোনাই এই কিশোরকে দলে ভেড়ানোর দৌড়ে এগিয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের এই কথাউ সত্য হলো। গতকাল তাকে নিজেদের দলভুক্ত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে বার্সেলোনা।

বার্সার ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরোয় নোয়া দারভিচের দলবদলের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে বার্সেলোনা ও ফ্রেইবুর্গ। ২০২৬ সালের ৩০ জুন তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। রিলিজ ক্লজ ১০০ কোটি ইউরো।’

দলবদলের নির্ভরযোগ্য সূত্র স্কাই ইতালিয়ার সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছেন, ‘অ্যাড-ওনস’ বাবদ বিভিন্ন শর্ত মিলিয়ে ৫ মিলিয়ন ইউরো খরচ হতে পারে বার্সার। তবে ১৬ বছর বয়েসী এই তারকাকে বয়সভিত্তিক দলে না রেখে বার্সার ‘বি’ দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেকোন সময়েই তার মূল দলে খেলা তাই অনেকখানি নিশ্চিত।

২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া দারভিচকে ইউরোপে উঠতি খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম সেরা প্রতিভা হিসেবে দেখা হয়। বাঁ পায়ের এই কিশোর বেশ প্রতিভাসম্পন্ন, শক্তিশালী ও ড্রিবলিংয়েও দক্ষ। দূরদর্শিতা আর পাসিংও খুব ভালো। ক্লাসিক নাম্বার টেন ছাড়াও ডিপ লেয়িং মিডফিল্ড বা উইঙ্গার হিসেবেও বেশ সুনাম আছে তার।

বিষ্ময়বালক হিসেবে এর আগেও অনেকেই ডাক পেয়েছেন। তবে নোয়া সেই নামের সুবিচার করেছেন। চলতি বছর হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৭ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে জার্মানির শিরোপা জয়ে ভূমিকা রেখেছেন দারভিচ। মিডফিল্ডে খেলেও করেছেন ২ গোল।

জাতীয় দলে তার সতীর্থ লামিন ইয়ামালও এখন বার্সেলোনা মূল দলের সদস্য। দুজনেই এখন ইউরোপের উঠতি খেলোয়াড়ের মাঝে অন্যতম। এমন তরুণদের নিয়ে তাই ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখতেই পারে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Welcome Back!

Login to your account below

Create New Account!

Fill the forms below to register

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.