আগামী ১৬ নভেম্বর সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণিতে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন প্রক্রিয়া চলবে । ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি। আর বেসরকারি স্কুলের ভর্তির লটারি হবে ১৩ ডিসেম্বর। এমন তথ্য যুক্ত করে ভর্তি নীতিমালার খসড়া অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। দুই-এক দিনের মধ্যেই বিষয়টি চূড়ান্ত করে নীতিমালা আকারে জারি করবে মন্ত্রণালয়।
মাউশির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি সব স্কুলেই নির্ধারিত ফরমে অনলাইনে ভর্তির আবেদন করতে হবে। আগের মতোই থাকছে ভর্তি ফি। সে অনুযায়ী রাজধানীর এমপিওভুক্ত স্কুলে ভর্তি ফি ৫ হাজার, নন-এমপিওতে সর্বোচ্চ ৮ হাজার এবং ইংরেজি মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নেওয়া যাবে। আর অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহরে ৩ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। এবারও ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্যাচমেন্ট এলাকা হিসাবে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে।
এদিকে আগামী বছর বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য টেলিটকের ওয়েবসাইটে সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোর তথ্য হালনাগাদ করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। আজ ১৪ নভেম্বরের মধ্যে ওয়েবসাইটে https://gsa.teletalk.com.bd প্রবেশ করে মহানগরী ও জেলা সদরের সদর উপজেলা পর্যায়ের স্কুলগুলোর তথ্য আপলোড করতে বলা হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপপরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেন, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (মহানগরী ও জেলা সদরের সদর উপজেলা পর্যায়ের) তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। যেসব বেসরকারি স্কুল সরকারি হওয়ার পর জনবল আত্তীকৃত হয়েছেন, এসব প্রতিষ্ঠানেও এবার সরকারিভাবে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। অন্যদিকে চূড়ান্ত নীতিমালা জারির অনেক আগেই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিভিন্ন স্কুল। তারা ভর্তি ফরমও বিতরণ শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অভিভাবকরা।