বিদায়ী মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর শেষ সময়ে দৈনিক মজুরিতে নিয়োগ দেওয়া ১৩৪ কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করেছে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর পরিষদ। পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের নিয়োগ বাতিল করেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার।
এই তালিকায় আরও ৫১ জন কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এতে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ মেয়র হিসেবে নিয়োগের একমাসের ব্যবধানে ১৮৫ জন চাকরি হারাচ্ছেন।
মাসুমা আক্তার বলেন, কর্পোরেশনে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা শ্রমিক চাহিদার তুলনায় দ্বিগুন রয়েছে। নিয়োগ দেওয়ার সময় শর্ত ছিল যখন প্রয়োজন হবে নগর ভবন কর্তপক্ষ চাকরি বাতিল করতে পারবে। সেই শর্তেই ১৩৪ জনের নিয়োগ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাতিল করা হয়েছে। বাকি ৫১ জনের নিয়োগ রোববার বাতিল করা হবে।
জানা গেছে, প্রশাসন, হাটবাজার, পরিছন্নতা, ভান্ডার, বিদ্যুৎ সম্পত্তি, জন্ম নিবন্ধন, প্রকৌশল, সিটি নিরাপত্তা, কর আদায়, সম্পত্তি, বাণিজ্য ও জনসংযোগসহ কয়েকটি শাখার ১৩৪ জন কর্মচারীর চাকরিচ্যুতির নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয়। বাদের তালিকায় থাকা অন্য ৫১ কর্মচারীকে মোবাইলে জানানো হয়েছে। রোববার চূড়ান্তভাবে তাদের নিয়োগ বাতিল করা হবে। নিয়োগ বাতিল হওয়া এই ১৮৫ জনসহ মোট ৩০০ জনকে সাদিক আব্দুল্লাহ দায়িত্ব ছাড়ার মাত্র একমাস আগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
যদিও নিয়োগ বাতিল হওয়া কর্মচারীদের অভিযোগ দুই মাস কাজ করালেও তাদেরকে কোনো টাকা না দিয়ে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
নিরাপত্তা কর্মী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি দুইমাস চাকরি করেছি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টায় কাজ শেষ করে নগরভবনে আসলে আমাকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়ে দেন আর কর্মস্থলে আসতে হবে না। আমাকে এক মাসের বেতন দেওয়া হয়নি।
প্রশাসনিক শাখায় কর্মরত অফিস সহকারি তাজাম্মুল ইসলাম বলেন, আমি নভেম্বর মাসের ১ তারিখ যোগদান করি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অফিস করেছি। এরপর আমাকেসহ ১৩৪ জনকে জানিয়ে দেওয়া হয় আমাদের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। আমারও এক মাসের বেতন পাওনা।