দেশের আট বিভাগে ১২-১৬ বছর বয়সী বিদ্যালয়গামী ও বিদ্যালয় বহির্ভূত সব শিশুকে দুই ধাপে কৃমিনাশক ওষুধ সেবনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. খালেদ সাইফুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় জানানো হয়, এসব শিশুকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ (মেবেন্ডাজোল ৫০০ মি.গ্রা.) সেবন করানো হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, কৃমিনাশক ঔষধটি নিরাপদ এবং এটি শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে কাজ করে।
নির্দেশনায় বলা হয়, গত ১৯ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদফতরে অনুষ্ঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সভায় দুই ধাপে ২৯তম ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’ পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ১ম ধাপে: ২৮ এপ্রিল থেকে ৪ মে সময়ে- চট্টগ্রাম, রংপুর, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগে এবং ২য় ধাপে: ১৫-২১ মে সময়ে ঢাকা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগসমূহে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
২৯তম ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’ কার্যক্রম পালনের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং প্রধান শিক্ষকগণকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানসহ নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ প্রতিপালন করার জন্য নির্দেশনায় বলা হয়- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ প্রধান শিক্ষকদের উল্লেখিত সময়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৯ তম ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’ কার্যক্রম পালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করবেন; সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণ নিজ নিজ ক্লাস্টারের বিদ্যালয়সমূহে এই কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবে প্রতিপালনের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তত্ত্বাবধান করবেন; শিক্ষকগণ যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
বিদ্যালয়ের সকল সহকারী শিক্ষকগণকে এ কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করতে হবে; স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেরিত ২৯তম ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’ কার্যক্রমের তথা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সরবরাহ করতে হবে এবং এ বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় সাধন করতে হবে।