সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এসব হিসাবের সঙ্গে সম্পর্কিত সব তথ্য বা দলিল যেমন— হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি (কাস্টমার ডিউ ডিলিজেন্স) এবং লেনদেনের বিবরণী ইত্যাদি, চিঠি পাওয়ার পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসন শেষ হয়। এরপর নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার পর, আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগী এবং বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন পেশাজীবীদের ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দ করতে শুরু করে বিএফআইইউ।
যেসব ব্যাংক হিসাব তলব ও জব্দ করা হয়েছে, সেখানে সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক লেনদেন, অর্থপাচার বা অন্য কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে এসব তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়।