কুড়ি ওভারের শ্রেষ্ঠত্বের আসরে সবচেয়ে বেশিবার সেমিফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান, ফাইনালও খেলেছে দুইবার, শিরোপা জিতেছে একবার। অথচ একটু এদিক-ওদিক হলেই পাকিস্তানের ফাইনাল হতে পারতো চারটি। কিন্তু তা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার কারণে। ২০১০ সালের পর ২০২১ সালের আসরেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে পাকিস্তানকে, পুড়তে হয়েছে হৃদয় ভাঙার বেদনায়।
প্রায় এক যুগ পর মাইক হাসির জায়গায় বসলেন ম্যাথু ওয়েড আর বোলিংয়ে রইলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। শেষের নয় বলে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। শাহিনের পরপর তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচটি জিতে নিয়েছেন ম্যাথু ওয়েড। এ দুই ম্যাচেই টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক; ২০১০ সালে মাইকেল ক্লার্ক, ২০২১’এ অ্যারন ফিঞ্চ। দুটি ম্যাচেই পাকিস্তানের পক্ষে ইনিংস সূচনা করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার এবং দুজনই পান ফিফটির দেখা। প্রথমটিতে কামরান আকমল (৫০), পরেরটিতে মোহাম্মদ রিজওয়ান (৬৭)।
তিন নম্বরে নামা পাকিস্তানের হয়ে ব্যাটাররা দুই ম্যাচেই খেলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস এবং দুজনের ইনিংসেই দেখা গেছে চারটি করে ছয়ের মার। ২০১০ সালে তিনে নেমে ৫৬ রান করেন উমর আকমল, ১১ বছর পর ফাখর জামান খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস। এছাড়াও দুইটি ম্যাচেই পাকিস্তানের প্রথম উইকেটের ক্যাচটি তালুবন্দী করেন ডেভিড ওয়ার্নার।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসেও মিল রয়েছে । দুই ইনিংসেই অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারের একজন আউট হন শূন্য রান করে, প্রথমবার ডেভিড ওয়ার্নার আর এবার অ্যারন ফিঞ্চ। দুই ম্যাচেই সমান ৫ রানের ইনিংস খেলেন স্টিভেন স্মিথ। তবে ২০১০ সালে তিনি নেমেছিলেন আট নম্বরে, এবার চার নম্বরে।
দুইটি ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চল্লিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেন ছয় ও সাত নম্বরে নামা ব্যাটার। প্রথমবার ক্যামেরন হোয়াইট (৪৩) ও মাইক হাসি (৬০*)। এবার মার্কাস স্টয়নিস (৪১*) ও ম্যাথু ওয়েড (৪৯*)। এ দুই ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার জয়সূচক শট খেলেন সাত নম্বরে নামা ব্যাটাররা এবং তারাই জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
২০১০ সালের মতো ২০২১ সালের অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ম্যাচটি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।