মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত শ্রমিকরা হলেন— মো. ফারুক (২৬), মো. আইয়ুব আলী (২৬), মো. সিদ্দিক (৪০), মো. আব্দুল খালেক (২০), আব্দুল মাজেদ (১৭), মনিরুল ইসলাম (৩০), জিয়াউর রহমান (৪৫), মো. মোবারক (২৫), মো. হারুল (৩০), সৈয়দ নুর (২৮), রমিজ উদ্দিন (৩০), মো. কায়ছার (৩৮), মো. মনির হোসেন (৩৫), মো. ইমরান (১৭), মঞ্জুর (৩০), আফসার আলী (২৫), মো. খাইরুল আমিন (৩০), আবু বক্কর (২৯), আবদুর রাজ্জাক (৩৩) ও মো. মবিন (২৫)। এরা সবাই কক্সবাজার জেলার রামু, ঈদগাহ এবং বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। অপর ৬ জনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। মুক্তিপ্রাপ্ত শ্রমিকরা বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যায়।
আরাফাত রাবার বাগানের মালিক মো. ফোরকান জানান, তার বাগানের ১২ জনকে মুক্ত করতে ৩ লাখ আর বাকী ৫ বাগানের ১৪ জনকে মুক্ত করতে ৭ লাখ টাকা মোট ১০ লাখ টাকা সন্ত্রাসীদেরকে মুক্তিপণ দিতে হয়েছে। অপহৃত শ্রমিকদেরকে বেশি মারধর করা হয়েছে। উদ্ধারের পর তাদের এখন কক্সবাজার উপজেলার ঈদগাঁ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপারেশন) মো. আব্দুল করিম জানান, গত শনিবার লামা উপজেলার ফাঁসিয়া খালী ইউনিয়নের মুরুং ঝিড়ির বিভিন্ন রাবার বাগান থেকে যে ২৫ শ্রমিককে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছিল। আজ সকালে তাদের ছেড়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ফাঁসিয়া খালি ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড গয়াল মারা মুরুংঝিড়ি রাবার বাগানের এলাকা থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ২৫ রাবার শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এর আগেও গত ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে দুর্গম বমুখাল এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ৩টি খামার বাড়ি থেকে ৭ তামাক শ্রমিক ও ২ ফেব্রুয়ারি গজালিয়া ইউনিয়নের কমলা বাগান এলাকা থেকে ৭ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়া গত ২৭ জানুয়ারি উপজেলার সরই ইউনিয়নের কেয়াজুপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর সময় স্থানীয়রা অস্ত্রসহ মংএনু মার্মা (৩৪) নামের এক পাহাড়ি সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।