আটককৃতদের মধ্যে দুজন নারী ও তিনজন কিশোর রয়েছেন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রিপুরা পুলিশ শনিবার আগরতলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। “অশান্তি ও উত্তেজনার কারণে” নিজেদের গ্রাম থেকে পালিয়ে বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করার জন্য তাদের আটক করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ভারতের একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, আটককৃত ওই ১০ বাংলাদেশি নাগরিককের মধ্যে দুই নারী, তিন কিশোর এবং একজন বয়স্ক ব্যক্তি রয়েছেন। তাদেরকে ত্রিপুরার আমবাসা রেলওয়ে স্টেশন থেকে আটক করা হয়। ওই স্টেশনে তারা আসামের শিলচরের উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠার চেষ্টা করছিল।
“আমরা আইন অনুযায়ী বাংলাদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করব,” বলেও ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আটককৃতদের একজনের নাম শংকর চন্দ্র সরকার। তিনি দাবি করেছেন, ক্রমাগত হুমকি ও ভয়ভীতির সম্মুখীন হওয়ার পর তারা কিশোরগঞ্জ জেলার ধনপুর গ্রাম থেকে পালিয়ে যান।
তার দাবি, “জঙ্গল ঘেরা পাহাড়ের মধ্য দিয়ে রাস্তা পার হয়ে আমরা শনিবার (ত্রিপুরার ধলাই জেলার) কমলপুর হয়ে ভারতে প্রবেশ করি। আমরা আসামের শিলচরে ভাড়া বাড়িতে থাকার চেষ্টা করছিলাম। আমরা কোনও অবস্থাতেই বাংলাদেশে ফিরে যাব না।”
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত চার মাসে ৫৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক এবং ৬৩ জনেরও বেশি রোহিঙ্গাকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার পরে আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন এবং ত্রিপুরার অন্যান্য স্থান থেকে আটক করেছে সরকারি রেলওয়ে পুলিশ, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং ত্রিপুরা পুলিশ।