২০১০ সালে প্রথমবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১১ ও ২০১২ সালে এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেও নানা জটিলতার কারণে ২০১৩ সালে এ নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ১০ বছর পর আবারও স্টুডেন্টস কাউন্সিল গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে বিদ্যালয়গুলোতে আয়োজন করা হবে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন।
আগামী ২ জুন সারা দেশে স্টুডেন্টস কাউন্সিলের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. নজরুল ইসলামের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আগামী ১৪-১৬ মে সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রধান শিক্ষক ও এসএসসি’র সভাপতিদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অবহিত করবেন। ১৭-২১ মে বিদ্যালয় পর্যায়ে এসএমসি, শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রী সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ২২ মে নিয়োগ করা হবে নির্বাচন কমিশনার। ২৩ মে ভোটার তালিকা প্রকাশ ও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
আরও বলা হয়, ২৪ মে মনোনয়ন আহ্বান, ২৮ মে মনোনয়ন জমা, ২৯ মে মনোনয়ন বাছাই ও বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে। ৩০ মে মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২ জুন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে প্রথমবার স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর সারা দেশের ১৯টি জেলার ২০টি উপজেলার ১০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে স্টুডেন্টস কাউন্সিল গঠন করা হয়। এই স্টুডেন্টস কাউন্সিলের কার্যক্রম স্থানীয় জনসাধারণ, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের মধ্যে বিপুল আগ্রহ ও উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্ট করে।
২০১১ সালেও সারা দেশে ৭৪১টি বিদ্যালয়ে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে স্টুডেন্টস কাউন্সিল গঠিত হয়। এরপর ২০১২ সালে সারা দেশে ১৩ হাজার ৫৮৩টি বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৩ সালে স্টুডেন্টস কাউন্সিলের কার্যক্রমকে বিস্তৃত করতে সারা দেশের সব জেলা-উপজেলায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাউন্সিল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু নানা জটিলতায় তা আর সম্ভব হয়নি।