৮০ জন সাঁতারু কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্টমার্টিনের (বাংলা চ্যানেল) উদ্দেশে সাঁতার শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে একজন বিদেশি ও ১০ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিতে সাঁতার শুরু করেন তারা।
১০ বছর বয়সের লারিসা প্রথম বাংলাদেশি, যে বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিচ্ছে। বাংলা চ্যানেল সাঁতার প্রতিযোগিতার এ দলে রয়েছেন গত তিনবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া বিদেশি সাঁতারু সিক্স ফিন্ডার। এছাড়া মোহাম্মদ শোয়াইব নামে ৬৯ বছরের বৃদ্ধ ও পার্বত্য এলাকা থেকে আসা উক্যচিং মার্মা উজ্জ্বল।
পানিতে ডুবে মৃত্যু থেকে রক্ষা পেতে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্ব আরোপ করতে এ সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আয়োজকরা জানান, স্পোর্টস অ্যাডভেঞ্চারকে উৎসাহিত করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি এই চ্যানেলকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচয় করার লক্ষ্যে ১৩ বছর ধরে এই আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণ ও যুব সমাজকে মানসিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচাতে সুস্থ খেলাধুলা এবং অ্যাডভেঞ্চার ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও অফরোড বাংলাদেশের আয়োজনে ট্যুরিজম বোর্ড, পর্যটন করপোরেশন ও কোস্টগার্ডের সহায়তায় এডিবল ওয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ‘ফরচুন’ সাঁতার প্রতিযোগিতায় পৃষ্টপোষকতা করছে।
এই ইভেন্টে অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ১০ বছর বয়সী লারিসা বলে, একটু ভয় ভয় করছে। তবে আমি পারব। এখানে অংশ নেওয়াটাও বাংলা চ্যানেলে একটা রেকর্ড। বিদেশি নাগরিক সিক্স ফিন্ডার জানান, আমি এ পর্যন্ত তিনবার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছি। জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য মূলত অংশ নিচ্ছি।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি বাংলা চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়। মূলত এটির স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন বিখ্যাত আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার ও স্কুবা ডাইভার প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। তার তত্ত্বাবধানেই প্রথমবারের মতো ফজলুল কবির সিনা, লিপটন সরকার এবং সালমান সাঈদ ২০০৬ সালে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন।