করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এ বছরই ১০ কোটি ডোজ টিকা দেশে আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, টিকা নিয়ে আমাদের সংকটের দিন শেষ। শুক্রবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মডার্নার টিকা হস্তান্তরকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, টিকা পাওয়ার অনেকগুলো সোর্স আমাদের আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো কোভ্যাক্স। যুক্তরাষ্ট্র কোভ্যাক্সের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিচ্ছে। আগস্ট মাসে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকেও টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরকম বিভিন্ন সোর্স থেকেই আমরা ১০ কোটি ডোজ টিকা পাব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর জনসন অ্যান্ড জনসনের সাত কোটি ডোজ টিকা আসবে। তাদের একটি টিকা একজনকেই দেওয়া হবে। তাহলে তাদের টিকাই আমরা সাত কোটি মানুষকে দিতে পারব।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসছে আগস্টে
চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা না পাওয়া গেলেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগস্টে ১৫ লাখ টিকা আসবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ যারা পাননি তাদের এই টিকা দেওয়া হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের আগস্ট মাস থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে, এমন ইঙ্গিত পেয়েছি। আমরা আশা করি, সময় মতো টিকা পেয়ে যাব। যারা সেকেন্ড ডোজের অপেক্ষায় আছে, তারা আবার টিকা নিতে পারবে। দ্বিতীয় ডোজ যাদের আটকে আছে, তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এই টিকা দেবে।
মন্ত্রী বলেন, এই টিকার মাধ্যমে আমাদের টিকা কার্যক্রমে গতি ফিরবে। এ বছরের মধ্যেই ১০ কোটি ডোজ টিকা দেশে আসবে। জনসন অ্যান্ড জনসনের থেকে সাত কোটি টিকা আসার কথা রয়েছে। সেই টিকা আগামী বছরের মাঝামাঝিতে আসবে। সেটি হবে এক ডোজের, যা যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দিচ্ছে।
টিকা গ্রহণ করতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম আলমগীর, ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এবং ইপিআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার গোলাম মাওলা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।