ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর এটিই মার্কিন প্রশাসনের কঠোর সমালোচনা।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের কাছে ৪৬ পৃষ্ঠার পর্যালোচনায় এই সম্ভাব্য অভিযোগের কথা বলা হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন বলছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন না করে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের নির্ভরযোগ্য আশ্বাস তারা ইসরায়েলের কাছ থেকে পেয়েছে। তারা এখনও এ অভিযোগ সম্পর্কিত তাদের কাছে আসা তথ্য যাচাই সম্পন্ন করেনি।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি জাতীয় নিরাপত্তা স্মারক (এনএসএম) জারি করে। সেখানে বলা হয়, গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র আন্তর্জাতিক আইন মেনে ইসরায়েল ব্যবহার করছে কি না, তা নিয়ে ব্লিঙ্কেনকে অবশ্যই 8 মে-এর মধ্যে কংগ্রেসে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
রাফাহতে অভিযান নিয়ে ইতোমধ্যে দুই দেশ ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। এরই মধ্যে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের একটি অস্ত্রের চালান আটকে দিয়েছে। যা মার্কিন নীতির গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন।
এদিকে হামাসের প্রবল প্রতিরোধ সত্ত্বেও ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান নিয়ে রাফার আরও ভেতরে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় বিমান ও স্থলহামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।