আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাবব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
শনিবার (১১ মে) বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-এর কার্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
সিএজি কার্যালয়ের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং দেশব্যাপী তিন দিনের বিশেষ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা উপলক্ষে ঢাকায় সিএজি কার্যালয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আগামীকাল ১২ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত বিশেষ সেবা কার্যক্রম চালু থাকবে।
বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক মানের অডিট সম্পাদনের প্রচলিত কমপ্লায়েন্স ও ফিন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি পারফরমেন্স অডিট, আইটি অডিট এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাবব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় হিসাবের আধুনিক কাঠামো প্রণীত হয়েছে। হালনাগাদ আর্থিক উপযোজন হিসাব প্রনয়ণের মাধ্যমে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, অডিট কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হলে সরকারের আর্থিক সম্পদের দক্ষ ও ফলপ্রসূ ব্যবহার সুনিশ্চিত হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মানসম্পন্ন এবং রিয়েল টাইম অডিট সম্পন্ন করতে সিএজি’র সার্ভিস সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অর্থ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, অডিট ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল প্লাটফর্মে এনে অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। এখন সময়ের সঙ্গে এর উৎকর্ষ নিশ্চিত করে যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। নিরীক্ষক ও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগের পুরনো পদ্ধতি বদলে দিয়ে ইতোমধ্যে অনলাইন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করা হয়েছে।
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রায় চার কোটির অধিক অডিট রিপোর্ট নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আদায় হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে উদ্বেগের বিষয় প্রায় ২৩৫টি অডিট রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে কিন্তু আলোচনা হয়নি।
অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা অটোমেশন করেছি। এখন পেনশন গ্রহকারীরা ঘরে বসেই পেনশনের টাকা পাচ্ছেন। আমাদের বিভিন্ন খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে সিএজি ভূমিকা রাখছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সিএজি নূরুল ইসলাম বলেন, এখন পেনশনের টাকা পেতে ব্যাংকে যেতে হয় না। ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছি। দক্ষ বাজেট ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।