দেশের বাজারে চাল ও পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রাখতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রেকর্ড পরিমাণ আমদানি হচ্ছে। গত দুদিনে ভারতীয় ৯৪ ট্রাকে ৪ হাজার ৫০০ টন চাল এবং ৪০ ট্রাকে ১ হাজার ১৯০ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হলেও শুল্ক জটিলতায় খালাস হয়নি। এর ফলে বাজারে সরবরাহ বাড়েনি এবং চালের দাম অপরিবর্তিত ছিল। তবে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর থেকে আমদানি করা চাল খালাস শুরু হয়েছে। ফলে আজ থেকে এসব চাল দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ হবে। আমদানিকারকদের প্রত্যাশা, সরবরাহ বাড়ায় চালের দাম দ্রুতই কমে আসবে। বর্তমানে আঠাশ জাতের চাল কেজি প্রতি ৫৫ টাকা, স্বর্ণা ৫২ টাকা এবং জিরা চাতের চাল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩ টাকা কমে ৬২ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ২ টাকা কমে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাহিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, দেশের বাজারে চাল ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানিকারকরা বেশি পরিমাণে আমদানি করছেন। এতে করে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। চাল বাজারে ছাড় হলে তার দামও দ্রুত কমে আসবে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দীন বলেন, চাল ও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। চাল ৬৫ শতাংশ শুল্ক থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ শুল্কে খালাস করা হচ্ছে। গত দুদিনে ৯৪ ট্রাকে ৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৪০ ট্রাকে ১ হাজার ১৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।