ধানমন্ডি এলাকার ৫ নম্বর সড়কে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে গতকাল রাতেই আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা। এরপর থেকে হাসিনার সুধা সদন পুরোটাই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাড়ি থেকে বিভিন্ন ধরনের মালামাল।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সুধা সদনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
সারেজমিনে দেখা গেছে, বাড়িটির বিভিন্ন রুমে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আগুন দেওয়া হয়েছে প্রতিটি রুমে। বেশ কিছু রুমে এখনো আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। বিভিন্ন রুমে প্রচণ্ড রকমের আগুনের তাপ লক্ষ্য করা গেছে। আগুনের তাপে ভবনের মধ্যে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুধা সদন থেকে মালপত্র নিয়ে যাচ্ছে জনতা
পুড়ে যাওয়া এই ভবনের ভেতর থেকেই অনেককে স্টিল, লোহা, টিন, কাঠসহ বিভিন্ন জিনিস ভেঙে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। কেউ এসির যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যাচ্ছেন। ভাঙারি পণ্য হিসেবে বিক্রয় করা যাবে এমন নানা অবকাঠামো নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
এর আগে গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত ভবনটিতে আগুন দেওয়া হয়। কাছাকাছি সময়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায় ছাত্র-জনতা। পরে ক্রেন, বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তিনতলা ভবনটি।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে সুধাসদন পুরোপুরি খালি ছিল। গণভবনে যাওয়ার আগে শেখ হাসিনা এই বাড়িতে থাকতেন। গতকাল নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ঘোষণা দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্র-জনতা। এরপর রাত থেকে শুরু হয় ভাঙচুর।
গত রাতে প্রথমে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুরের বাড়িতে আগুন দেয় ছাত্র-জনতা। পরে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে আগুন দেয়। তবে সেখানে ছাত্র-জনতার কাউকে দেখা যায়নি। দেখা গেছে সুনসান নীরবতা। বাড়িটি আগুনে পুড়লেও সেখানে যায়নি কোনো ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে উত্তেজিত জনতার ভিড় থাকলেও ৫ নম্বরের বাড়িতে তেমন ভিড় লক্ষ করা যায়নি। হাতে গোনা কিছু লোক বাড়ির মধ্যে অক্ষত কী রয়েছে তা খুঁজছেন। এছাড়া বেশ কিছু মিডিয়া কর্মীকে লক্ষ্য করা গেছে।