বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহাদি হাসান জুনায়েদ, ইয়াসিন আহমেদ রাজ ও আব্দুল্লাহ সিদ্দিকের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহাদি হাসান জুনায়েদ, ইয়াসিন আহমেদ রাজ ও আব্দুল্লাহ সিদ্দিক এদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যাদের রক্ত দিয়ে আমরা এই পরিবর্তন পেয়েছি। ১৭ বছর পরে একটি ক্ষুধার্ত হায়না দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তারপরও যারা তাদের জন্য মায়া কান্না করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো ছাড়া আর কিছু বলার নেই।
রিজভী বলেন, বাপ এবং পরিবার ছাড়া এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য যারা লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন, কথা বলেছেন, তাদের কোনো নাম থাকবে না। প্রকৃতি ইতিহাস লেখার জন্যই তো এই শহীদরা জীবন দিয়েছেন। সুতরাং আজও কেন শেখ হাসিনার দোসরা বিভিন্ন জায়গায় থাকবে। তারা তো ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করবেই। আজকে জানুয়ারির ৮ তারিখ কিন্তু এখনো ৮১ শতাংশ ছাত্রছাত্রীরা হাতে বই পায়নি। যতটুকুই পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যেও প্রিন্টিং মিসটেক। এর জন্য কে দায়ী?
তিনি আরও বলেন, মুদ্রণ ব্যবসার জন্য যিনি দায়ী তিনি হচ্ছেন শেখ হাসিনার একজন ঘনিষ্ঠ দোসর তাকে রক্ষা করা হয়েছে। এইজন্য তো জুনায়েদরা রক্ত দেয়নি। একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য রক্ত দিয়েছে। ফাইনাল পরীক্ষার পরে তাদের হাতে ঝকঝকে নতুন বই আসবে। কারণ ৫১ শতাংশ বই ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে এসে পৌঁছেনি কারণ সেখানেও শেখ হাসিনার দোসরা রয়েছে।