ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে বেশ কয়েকজন তথাকথিত ব্যবসায়ী দেদারসে অর্থ পাচার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান।
শনিবার (২ আগস্ট) ‘সরকারের এক বছর : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, হাসিনার আমলে কিছু তথাকথিত ব্যবসায়ী ব্যাপক লুটপাটে জড়িয়েছেন। সরকারের আনুকূল্য পেয়ে ব্যাংক খালি করেছেন, দেদারসে অর্থ পাচার করেছেন।
এসব ব্যবসায়ীর হীন কর্মকাণ্ডের ফলে দেশের উদ্যোক্তা সমাজ ইমেজ সংকটে পড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢালাওভাবে দোষারোপ করায় বিপদে পড়েছেন সৎ উদ্যোক্তারাও।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, লুটেরা আর উদ্যোক্তার মধ্যে পার্থক্য ঠিক করতে হবে। মনে হচ্ছে, উদ্যোক্তা হয়ে অন্যায় করে ফেলেছি। যেন আমরা রক্তচোষা। এভাবে ঢালাওভাবে ব্যবসায়ীদের লুটেরা হিসেবে ট্যাগ করা হলে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হবে।
তিনি বলেন, গেল এক বছরে দেশের অর্থনীতি নিয়ে স্রেফ হতাশাই ঝরেছে এই উদ্যোক্তার কণ্ঠে। এ সময়ে দেশে কোনো বিনিয়োগ হয়নি। কারণ দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নেই। উচ্চ খেলাপি ঋণ দৃশ্যমান হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য করা কঠিন হয়ে গেছে।
৩৫ শতাংশ থেকে শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শুল্ক আরও কমানোর সুযোগ আছে। যদি আমরা উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ উপাদান ব্যবহার করতে পারি, তাহলে শুল্ক কমে ১৪ থেকে ১৬ শতাংশে নেম আসতে পারে।