তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিক সোহেল রানা ডালিমকে উপর্যুপরি ক্ষুরের আঘাতে রক্তাক্ত জখম করেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এর পর সাংবাদিক সোহেলকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসারত অবস্থায় দ্বিতীয় দফায় সেখানে গিয়ে আবারও এলোপাতাড়ি কোপায় হামলাকারীরা।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পত্রিকা অফিসের উদ্দেশে মোটরসাইকেলে রওনা দেন সোহেল রানা ডালিম। তিনি শহরের ইমার্জেন্সি রোডস্থ আবদুল্লাহ সিটি কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছলে তার মোটরসাইকেলের সঙ্গে আরেকটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। ওই মোটরসাইকেলে ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক স্কুল ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদ ও তার দুই কর্মী। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে সাংবাদিক ডালিমকে ক্ষুর দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতে রক্তাক্ত জখম করা হয়। ডালিমকে রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় দ্বিতীয় দফায় আবার বর্বরোচিত হামলা চালানো হয় সাংবাদিক ডালিমের ওপর।
এ সময় আবারও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় তাকে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডা. শাকিল আর সালান বলেন, সাংবাদিক ডালিমের পিঠ, হাত, পেট ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরি জাতীয় কোনো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সব আঘাতকেই মেডিকেলের ভাষায় সিভিআর ইনজুরি বলে। তার শরীরে দুই শতাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে।
তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে যে কোনো সময় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতে পারে। এ ঘটনায় রাতেই জেলা ছাত্রলীগের সাবেক স্কুল ও ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক অভিযুক্ত রাজু আহমেদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ঘটনার পরপরই এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজু আহমেদ নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।