জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ মামুর৷ নানা চিকা আর বিজ্ঞাপনে নোংরা হয়ে থাকা ক্যাম্পাসের নানা ভবনের দেয়ালগুলো তিনি রঙিন করে তুলছেন বাহারী রঙের শিল্পে। কোথাও আঁকছেন পাখা, কোথাও ছায়াপথ, কোথাও বা ফেলুদা, টেনিদা’র মতো বাংলা সাহিত্যের চরিত্রদের৷
মামুরের এই ছবি আঁকা বা নোংরা দেয়াল রঙিন করে তোলার আয়োজনে বিষয় হিসেবে ধরা দিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার কালজয়ী তিন অভিনেতাও৷ তারা হলেন হুমায়ুন ফরীদি, এটিএম শামসুজ্জামান ও দিলদার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ব্যাবসায় শিক্ষা অনুষদ সংলগ্ন বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারের জন্য ব্যবহৃত ঘরের দেয়ালে আঁকা হয়েছে এই তিন অভিনেতার ছবি৷ যা দেখে চোখ জুড়ায়, মন ভরায় এবং দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ায়।
এ তিন অভিনেতার ছবি আঁকার ব্যাপারে মামুর গণমাধ্যমে বলেন, ‘হুমায়ুন ফরিদী, এটিএম শামসুজ্জামানের প্রতিকৃতি আঁকার মাধ্যমে বাংলা চলচিত্রকেও জুড়ে দিলাম আমাদের এই দেয়াল রাঙানোর কার্যক্রমে। বাংলা চলচিত্র নিয়ে আরও আঁকার ইচ্ছে অবশ্য আছে পরবর্তীতে। মহীনের ঘোড়াগুলি এবং আজম খানকে উৎসর্গ করে আগেই আঁকা হয়েছিল তিনটি দেয়ালচিত্র। বাংলা গান নিয়ে সামনে আরও কাজ করার ইচ্ছে আছে আমাদের।’
ফরীদি, এটিএম ও দিলদারকে নিয়ে আঁকা ছবিগুলো নজর কেড়েছে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের। অনেকেই সোশাল মিডিয়ায় ছবিগুলো শেয়ার করছেন। প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন শিল্পী আব্দুল্লাহ মামুরকে। তিনি একা নন। এ দেয়াল রঙিন করা আয়োজনে মামুরের সঙ্গী চারুকলার আবির আর্য, থিন জো মং, বিপিন চাকমা, ফারজাদ দিহান, জাকিয়া রহমান ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ও অন্যান্য বিভাগের অনেকেই।
তারা ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ভেতরের একপাশে এঁকেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের চরিত্রদের। আইরিশ সিনেমা ‘সং অব দ্য সী’ এবং জাপানি সিনেমা ‘মাই নেইবর তোতোরো’ ঠাঁই করে নিয়েছেন এখানে।