এদিন ২ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার শাদাব খানকে ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন হারিস রউফ। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানি বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ ১০৯ উইকেট শিকারের কৃর্তি গড়লেন হারিস রউফ। ৩১ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার মাত্র ৭৬ ম্যাচে অংশ নিয়ে এই নজির গড়েন। ১০৪ ম্যাচ খেলে ১০৭ উইকেট শিকার করে দ্বিতীয় পজিশনে আছেন শাদাব খান। আর ৭৩ ম্যাচ খেলে ৯৭ উইকেট শিকার করেন তারকা পেস বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি।
দলের ৭৭ রানের মাথায় থেমেছেন মারুমানি। ২০ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি। তবে অধিনায়ক রাজা টিকে ছিলেন। সাবলীল ব্যাটিংয়ের দলের ইনিংসকে টানছিলেন তিনি। মাঝে রায়ান বার্ল এবং ক্লিভ মাদান্দের উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ভরসা হয়ে টিকে ছিলেন সিকান্দার রাজা। তবে সেই রাজাও থেমেছেন একসময়। দলীয় ৯৫ রানের মাথাতে ২৮ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন রাজা।
সেখানেই যেন ম্যাচ থেকে এক প্রকার ছিটকে যায় জিম্বাবুয়ে। পরের ওভারে টানা দুই বলে আউট হন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা এবং রিচার্ড এনগারাভা। হার চোখ রাঙাতে থাকে জিম্বাবুয়েকে। শেষ দিকে আর কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। টপাটপ একের পর এক উইকেট হারিয়ে ১০৮ রানের মাথাতে অলআউট হয়ে যায় তারা। তাতে ৫৭ রানের জয় পায় পাকিস্তান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানকে উদ্বোধনী জুটিতে ওমাইর ইউসুফ এবং সাইম আইয়ুব করেন ১৮ রান। ১৩ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন ওমাইর। এরপর উসমান খান এবং সাইমের ব্যাটে চড়ে এগিয়েছে পাকিস্তানের ইনিংস। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫২ রান তোলে পাকিস্তান।
অধিনায়ক এগিয়েছেন বেশ ধীরগতিতে। ১৯ বলে ১৩ রানের শম্বুকগতির ইনিংস খেলে আউট হন সালমান। ১৪.২ ওভারে তখন পাকিস্তানের বোর্ডে ১০০ রান। শেষ দিকে দলের ত্রাতা হয়েছে তায়াব তাহির এবং ইরফান খান। স্লগ ওভারে দুজনের মারমুখি ব্যাটিংয়ে আলোর দিশা পায় পাকিস্তান। ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন দুজন।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান। ২৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তাহির। অন্যদিকে ১৫ বলে ২৭ রানের ক্যামিও খেলে টিকে ছিলেন ইরফান।